বাংলাদেশ

জুলাই স্মৃতি জাদুঘর কমিটিতে যারা থাকছেন

  প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২৪ , ৫:২৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই স্মৃতি জাদুঘর কমিটিতে যারা থাকছেন
ছবি: সংগৃহীত

সরকারপ্রধানের বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের জন্য কমিটি ঘোষণা করে এর সদস্যদের নাম জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (০২ নভেম্বর) গণভবনের গেটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. এবাদুর রহমান। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব; লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক; আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি; নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার এবং ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম।

এছাড়া কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম।

কমিটি ঘোষণার পর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন তৈরি রয়েছে, সেগুলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি এই জাদুঘরে ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও সংরক্ষণ করা হবে। জাদুঘরে ‘আয়না ঘরের’ একটি রেপ্লিকা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্র হিসাবেও এই জাদুঘরকে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

নাহিদের আশা, ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে জনগণ এই জাদুঘরকে ধারণ করবে।

প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল। আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

চলতি সপ্তাহেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের নবগঠিত কমিটি কাজ শুরু করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মাহফুজ।

আরও খবর

Sponsered content