রাজশাহী

জয়পুরহাটে ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য

  প্রতিনিধি ৩১ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:০৪:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : খাদ্য উপাদানে ভরপুর ও পুষ্টিগুণাগুন সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন জয়পুরহাট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন। ক্যাপসিকাম চাষি মোশারফ হোসেন জানান, গত বছর অল্প পরিষরে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় এবার বাণিজ্যিক ভাবে ১৬ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এতে চারা রোপণ করতে হয়েছে এক হাজার ১০০ টি।

চারা রোপণের ৪৫ দিনের মাথায় প্রতিটি গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে। ২০০ টাকা কেজি দরে বাজারে ৫ কেজি বিক্রি করেছেন গত সপ্তাহে। সাধারণ সবজির তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় তিনি বেশ আনন্দিত। পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় জয়পুরহাটের স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

‘জাকস ফাউন্ডেশন’ ক্যাপসিকাম চাষে চারাসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে বলে জানান, মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন। বেলে দো’আঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সে কারণে জয়পুরহাটের মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্যও উপযোগী।

সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাপসিকাম এলাকার সাধারণ মানুষের নিকট মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। আগে তেমন কদর না থাকলেও খাদ্য উপাদানে ভরপুর ও পুষ্টিগুণাগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় এর কদর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুষ্টিমানের দিক থেকেও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ থাকা ক্যাপসিকাম অত্যন্ত মূল্যবান একটি সবজি।

আয়মারসুলপুর গ্রামের ক্যাপসিকাম চাষি মোশারফ হোসেন জানান, ১৬ শতাংশ জমিতে চাষ করা ক্যাপসিকাম আগামী ৬/৭ মাস ব্যাপি ফলন পাবেন। এতে খরচ বাদে ৭০ থেকে ৮০হাজার টাকা লাভ থাকবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন জানান, সরকারের পাশাপাশি পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পুষ্টিগুণ বিবেচনায় সময় উপযোগী ও চাহিদা মোতাবেক নানা ফসল উৎপাদনে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

আরও খবর

Sponsered content