প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২০ , ৮:১৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার সিমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মোহাম্মদ হযরত মুন্সীর বড় ছেলে মো: হাবিবুর রহমান দির্ঘ দিন থেকে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে প্রবাসে জীবন যাপন শুরু করেন । ইতালীতে বর্তমান স্ত্রী সন্তান সহ স্ব–পরিবারে বসবাস করছেন । করোনা আগমনের আগেই সে তার জন্মভূমিতে এসে ঘুরে যান । সে তার আত্বীয় স্বজনের সাথে সাক্ষাত করে তার জীবনের গল্প ও ইতালী দেশের ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলেন ।
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কোভিড–১৯ এর প্রভাবে ইতালীতেও এক বিশাল ঝড় বয়ে গেছে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে তার চোখের সামনে জিবন দিতে হয়েছে তার বন্ধুদের । কিন্ত মহান রাব্বুল আলামিন স্ব পরিবার সহ তাকে হেফাজত করেছে । এই উপজেলায় নেই কোন শিল্প কারখানা দারিদ্রতার নিচে বসবাস করে অধিকাংশ জনসাধারণ ।
মৃত্যুকে মাথায় রেখে আবার এই ক্লান্তিকাল সময়ে মহামারীতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অসহায় মানুষের ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে । তা চিন্তা করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার কষ্টের অর্জিত ফসল আজ প্রিয় মাতৃভ’মিতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে । তার সিমান্তবর্তী ইউনিয়নে অসহায় মানুষের জন্যে খাদ্যের উপহার সামগ্রী বিতরণের জন্যে দেশে থাকা বুন্ধ বান্ধব ও তার ছোট ভাই মারফত কয়েক দফা সুষ্ঠ ভাবে খাদ্য বিতরণ করেছেন । সে প্রবাস থেকে খোঁজ খবর নিয়ে এলাকার অসহায় পরিবারের হাত বাড়িয়ে দিয়ে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন । তার এ উদ্যোগকে এলাকার বিশিষ্ঠ নাগরিকরা সাধুবাদ জানিয়েছেন ।
ইতালী প্রবাসি হাবিবুর রহমানের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি এই উপজেলার মানুষ আমি জানি আমার উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের জনগণ এই মহামরীতে ব্যাপক কষ্ট লাঘব করছে । আমার কর্তব্য দায়িত্ব রয়েছে তাদের পাশে থাকা । আমি সামান্য উপহার দিতে পেরে নিজেকে সার্থক মনে ককরছি । আমি ইতালীতে পরিবার সহ থেকে যাব তবুও দেশের জন্যে মন কাঁদে । অনেক কষ্ট করেছি আজ আল্লাহ পাক আপনাদের দোয়ায় দিয়েছে । আমার সামর্থ অনুযায়ী সহযোগিতার হাত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ।