প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ৭:০১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
জরুরি প্রয়োজনে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে চীনের উদ্যোগে ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের প্ল্যাটফর্মে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
আজ চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে টিকা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্টেটমেন্টে বলেছি, যেখান থেকে পাই আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে আসব। মানুষের মঙ্গলের জন্যে যা যা প্রয়োজন সব বহুজাতিক উদ্যোগের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ।’
বৈঠকে চীন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক থেকে ভারতকেও চীনের এই প্ল্যাটফর্মে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মঙ্গলের জন্য যা যা করার আমরা সব করব। যার কারণে এই ফোরাম ছাড়াও আমরা আগে সার্কে কোভিড ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা সেটাতে কাজ করেছি।
বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ইমারজেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া নামের প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও চীন আরও কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে। চীন পোস্ট কোভিড প্রভার্টি এলিগেশন সেন্টার করতে চায়। কোভিডের কারণে দেশে দেশে যে দারিদ্রতা বাড়ছে, তা কীভাবে কমানো যায় এটা নিয়ে এই সেন্টার কাজ করবে। তাছাড়া চীন বলেছে, গ্রামের নারী যারা কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য ই-কমার্স করতে চায়।
মোমেন বলেন, ‘ইদানিং একটি মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। অনেক দেশ নিজে নিজে সবকিছু করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে এই করোনাকালে একে অপরের পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটার ওপর জোর দিয়েছি।’
দেশে টিকা আনা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘আমাদের টিকার মূল যোগানদাতা ছিল ভারত। কিন্তু তাদের দেরির কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা আনার চেষ্টা করছি। চীনকে আমরা বলেছি, আমাদের টিকা লাগবে। চীন বলেছে, এটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।’
চীনের টিকা কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসতে পারে- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘তারিখ চূড়ান্ত হয়নি, তাছাড়া আনার ক্ষেত্রে আইনকানুন আছে। চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনেকদিন থেকে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
বৈঠকে ঢাকার পক্ষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি তোলা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে আমরা রোহিঙ্গাদের কথা বলেছি। আমরা বলেছি, চীনের উদ্যোগে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নেওয়ার জন্য এটা ব্যহত হয়। এটা যেন আবার তাড়াতাড়ি চালু করা যায়।’