চট্টগ্রাম

ঠিকাদারকে গালমন্দ করে তাড়ালেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা 

  প্রতিনিধি ৫ মে ২০২৫ , ৩:৫৭:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ঠিকাদারকে গালমন্দ করে তাড়ালেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জিবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তা স্বরূপ বকনা বাছুর বিতরণে শুভঙ্করের ফাঁকি ধরা পড়েছে।  

সোমবার ( ৫ মে) সকালে মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাঝে বকনা বাছুর বিতরণের সময় এই ফাঁকি ধরা পড়ে। বাচুর বিতরনে অনিয়ম ধরা পড়ে সাংবাদিক কে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ৫৩ টি বাছুরের মধ্যে ২৫ টি বাছুর ফেরত নিতে বাধ্য হয় সরবরাহকারী ঠিকাদার।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সরকারি সহায়তায় দেশের সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিরসরাইয়ে ১ শত ১২ জন উপকারভোগিকে বাকনা বাছুর বিতরণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ৫৩ টি বাছুর বিতরণ শুরু করে মিরসরাই প্রাণী সম্পদ কার্যালয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বখনা বাছুর সুস্থ সবল হবে ওজন কমপক্ষে ১শত কেজি হবে। কিন্তু সোমবার সকালে বিতরণ করার সময় দেখা যায় প্রতিটি বখনার ওজন ৩৫ থেকে ৫০ কেজি বার তারও কম, বাছুর গুলো শুকনো রোগা আর হাড্ডিসার। বিষয়টি আমাদের মিরসরাই প্রতিনিধি সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিনের নজরে আসলে তিনি বিষয়টি জানতে চাইলে প্রায় ২৮ টি বাছুর দ্রুত বিতরণ করে পার করে দেয়া হয়। 

এই বিষয়ে তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিটি বাছুরের ওজন ৮০ থেকে ৯০ কেজি হবে। 

কিন্তু প্রকল্প কর্মকর্তা ড. অসিম কুমার দাস বলেন প্রতিটি বাছুর কমপক্ষে ১ শত কেজি হবে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের মোবাইলে ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে বাছুরের ওজন ও পরিমাপ যাচাই করেন। যাচাই করে দেখে সবচাইতে বড় বাছুরটির ওজন বাড়িয়ে পরিমাপ করলেও ৬০ কেজি পূর্ণ হয়না। এতে তিনি মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ড. জাকির হোসেনকে নির্দেশ দেন বাছুর গুলো বিতরণ করা থেকে বিরত থাকতে। 

অবস্থা বেগতিক দেখে ঠিকাদারের লোকজন সাংবাদিক আশরাফ কে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০ দিন আগেও ৯১ টি বাছুর বিতরণের জন্য আনা হয়েছিল সাইজে ছোট ও রোগা হওয়ায় ফেরত দেয়া হয়েছিল। এখন আবার একই অবস্থা। 

বাছুর নিতে আসা নৃগোষ্ঠীরা জানায়, তারা প্রতিজন ৫ শ টাকা ভাড়ায় কয়লা থেকে এখানে এসেছে। এর আগেও একবার এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। আমরা দিন মজুর আজকে কাজ ফেলাই আসছি সেখানেও ৭ টাকা ক্ষতি। বাছুর নেয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করছি একটা ৪ হাজার টাকা ওটা এখন কে দিবে গতবারেও গায়ের থেকে দিতে হয়েছে। 

প্রকল্প পরিচালক ড়. অসিম কুমার দাস বলেন, যদি ঠিকাদার তার চুক্তি অনুযায়ী বাছুর সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তার চুক্তি বাতিল সহ জরিমানা আদায় করা হবে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। 

আরও খবর

Sponsered content