দেশজুড়ে

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের সফলতা উদযাপন ২০২৩

  প্রতিনিধি ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৬:৪০:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের সফলতা উদযাপন ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালযের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মাসুম ইকবাল, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান, ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তি আবীর ও কম্পিউটং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রধান ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সরওয়ার হোসাইন মোল্লাহ ।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের সফলতা উদযাপন ২০২৩ উপলক্ষ্যে আজ ২৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর সোবহানবাগস্থ ড্যাফোডিল টাওয়ারের ৭১ মিলনায়তনে এক ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালযের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রধান ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সরওয়ার হোসাইন মোল্লাহ’র সভাপতিত্বে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মাসুম ইকবাল, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান ও ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তি আবীর। 
‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে বর্তমান সময়ের সর্বাধিক আলোচিত কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফলতার চিত্র তুলে ধরা হয়। ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, ২০১৯ সালে প্যানডেমিক এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের  ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যক্রমে মেশিনলার্নিং, ডাটা মাইনিং এবং ডাটা সাইন্সের সংযোজন করা হয় এবং শেনীকক্ষে শিক্ষকমন্ডলীরা সফলভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে উক্ত প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জন্মলগ্ন থেকেই সর্বাধূনিক প্রযুক্তি ও প্রয়োগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে আসছে বলে জানানো হয়। 
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অগ্রগামীদের মধ্যে অন্যতম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে প্রনয়ন করা হয়েছে মাস্টার্স ইন এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর মাস্টার্স প্রোগ্রাম। কম্পিউটং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই প্রোগ্রামটি আগামী বছর চালু হবে।  একইসাথে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পরিচালিত আন্ডারপ্রেগ প্রোগ্রামগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রযুক্তির ব্যবহার সংযোজিত হয়েছে এবং আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের সকল বিভাগের কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের তৃতীয় বছর উদযাপন করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানাননো হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরেকটি উচ্চস্তর বিষয় হলো “জেনেরেটিভ এ আই”। এটি এমন এক ধরনের কৃত্রিম বদ্ধিুদ্ধিমত্তা যা কথোপকথন, গল্প, চিত্র, ভিডি ও এবং সংগীত এর কনটেন্ট এবং আইডিয়া তৈরি করতে পারে। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনষুদের বিভিন্ন বিভাগে, যেমন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল, কম্পিউটিং ইনফরমেশন সিস্টেম, মাল্টি মিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ  টেকনোলজি এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এর সকল শিক্ষা কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ২০২১ সালে সংযোজিত হয় এবং ২০২৩ এর শুরুর দিকে জেনেরেটিভ এ আই কে প্রাধান্য দিয়ে পরিবর্তন আনা হয়।
 ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কৃত্রিম বুুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের অনেক সফল প্রকল্পের মধ্যে একটি অনন্য প্রকল্প “মাল্টিমোডাল এ আই প্ল্যাটফর্র্ম”। সিআইএস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রদের তৈরি করা এই অনন্য প্ল্যাাটফর্ম বাংলাদেশের প্রথমবারের মত সফল কৃত্রিম বদ্ধিুমত্তা প্রয়োগের উৎকৃষ্ট উদাহরন। সিআইএস এর পাশাপাশি অন্য বিভাগগুলিও অনেক তৎপর এবং আপনারা জেনে খুশি হবেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কৃত্রিম বদ্ধিুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের বিষয়কে গুরুত্ব দেবার জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা ও উন্নয়ন অনদুান দেওয়া হয়। ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট (আই টি এম) বিভাগে চাকরির উপযোগী করার জন্য ইতিমধ্যে এ আই টুলস ব্যবহার হচ্ছে । সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশটি এবং সিএসই বিভাগের সাতটি এ আই প্রজেক্ট শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ব্যবহার হচ্ছে বলে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে  জানানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content