আইন-আদালত

তারেক-জোবায়দাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করবে সরকার : আইনমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৩ , ৬:১৯:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

তারেক-জোবায়দাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করবে সরকার : আইনমন্ত্রী

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, রায় কার্যকর করার চেষ্টা সরকারের সবসময় থাকবে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার চেষ্টা করবে।

বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আসামিকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সবসময় থাকবে, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।

বিএনপি বলছে এটি ফরমায়েশি রায়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই, আপনারাই জানেন। তারাই এই দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছে।

তারপরে হাইকোর্টে এ দুর্নীতি মামলা দায়েরের পরে যিনি আসামি তার পক্ষে যাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন সেটা নাকচ করে দিলেন, এরপর আপিল বিভাগে তারা গেছেন। আপিল বিভাগ নাকচ করার পরে এই দায়িত্ব বর্তায় বিচারিক আদালতে। এখানে তারা যদি বলেন, ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্পর্কে তাদের ধারণা আছে কিনা আমার সন্দেহ।

বিএনপি বলছে নির্বাচনের আগে এ ধরনের একটি রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে বিভ্রান্ত করার কী আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে এরপর রায় বেরিয়েছে। আর এ আসামি তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকটা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছরের দণ্ডাদেশ দিয়েছে। নতুন করে উনাকে এটা দিয়ে উনার ভাবমূর্তির খারাপ করার তো আমাদের চেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না।

বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিকে বলা হয় এখানে বিচার হয় না, সবকিছু অত্যন্ত ধীর গতিতে চলে, আরেকদিকে বলা হয় বিচারটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো। দোষ যখন করেছেন তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করা উচিত। আপনারাই দেখছেন, বিএনপি যতক্ষণ রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা।

আরও খবর

Sponsered content