প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪:০৮:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে দাফনের ৩ দিন পর বৃদ্ধার করোনা সনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার ৫০টি বাড়ি বিশেষায়িত লকডাউন করে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।তাকে চিকিৎসা করায় শিবচর হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও এক সেবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট বুকে ব্যাথা নিয়ে শিবচরের কুতুবপুরের ওই বৃদ্ধা(৭০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। শিবচর হাসপাতালে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ও এক সেবক তার চিকিৎসা করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ এপ্রিল বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। সেখানে তার করোনা ভাইরাসের নমুনা রাখা হয়। ২৩ এপ্রিল শিবচরের কুতুবপুরে তার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
রবিবার ওই বৃদ্ধার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসলে বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানানো হয়। সিভিল সার্জন দুপুরে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তাকে জানায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা সাথে সাথেই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ইউএনওসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দরা বাড়িটিতে গিয়ে ওই বাড়ি ও আশে পাশের ৫০টি বাড়ি বিশেষায়িত লকডাউন ঘোষনা করে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়া হয়। ওই এলাকার কেউ বাইরে আসতে পারবে না। কেউ ওখানে যেতেও পারবে না। এছাড়াও ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসাসেবা দেয়া চিকিৎসক ও সেবককে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ওই বৃদ্ধা শিবচর আসার পর চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে করোনা টেস্টে তার পজিটিভ এসেছে। ধারনা করা হচ্ছে ওই মেডিকেল থেকেই সে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। কারন তার বাড়িতে গিয়ে আমরা প্রবাসীদের কোন সংযোগ পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধার জানাজা, দাফন কাজে সংস্পর্শে আসা নিজের ও পাশর্^বর্ত্তী ৫০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িসহ ওই এলাকায় লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এনিয়ে শিবচরের মোট রোগীর সংখ্যা ১৮। ২ জন মারা গেলেন। এদের মধ্যে আগেই সুস্থ হন ৩ জন। ১৯ এপ্রিল সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ৮জন মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেন (এদের মধ্যে ৫ জন ২য় দফায় আক্রান্ত)। দু দিন আগে এক চিকিৎসক সুস্থ হয়ে শিবচরের বাসায় ফিরেন। বর্তমানে নারী চিকিৎসক সন্তানসহ ৪ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।