প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৫ , ৬:২৪:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বছর ঘুরে আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। অনেকেই সহজ ভাষায় বলে কুরবানীর ঈদ। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে কুরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কামাররা। শহরের বিভিন্ন কামারদের দোকানে টুংটাং শব্দই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যেই আসছে মুসলিম সম্প্রদায়ের আরেকটি বৃহৎ উৎসব কোরবানির ঈদ।
এই ঈদকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কুরবানী দিবে গরু, ছাগল ও মহিষ দিয়ে। কুরবানী ঈদের প্রস্তুতি নিতেই প্রস্তুত হচ্ছে কামাররা। ইতিমধ্যেই দা, বটি, কুড়াল ও বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় ছুরি তৈরি করে দোকানে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি।
শহরের গনেশতলা দোকানের কামার অতুল কুমার জানান, আসছে কোরবানির ঈদ। এখন থেকেই শুরু হয়েছে আগাম প্রস্তুতি। কসাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাসা বাড়ির (মুসলিম সম্প্রদায়) মানুষ আগেভাগেই অর্ডার দিতে শুরু করেছে। এ মাসের ২০/২৫ তারিখ থেকে ধুমসে বিক্রি শুরু হবে। অতুল জানায়, লোহার পাত ও লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দা,ছুরি , বটি ও কুয়াল গতবারের চেয়ে এবার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চা পাতি দা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, জবাই চাকু ৯০০ থেকে ১০০০, চামড়া চাকু সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ২০০ টাকা, বটি সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ১০০০ টাকা ও কুড়াল ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানে আসা একজন ক্রেতা আফজাল হোসেন জানান, প্রতিবছর বাড়িতে নিজেরাই গরু-ছাগল কুরবানী দেই। নিজেরাই করলে আনন্দ উৎসবটা বেশি হয়। তাই প্রতিবছর কামারদের কাছ থেকে দা,বটি ও ছুরি ক্রয় করি। দাম বাড়বে এই চিন্তা করে আগেভাগে ক্রয় করতে এসেছি। কিন্তু লাভ নেই এবার প্রথম থেকে দাম বাড়তি দিকে।
কামারদের প্রস্তুতি ও তৈরির টুং টাং শব্দ মুসলিম সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যেই ফিরে আসছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহোৎসব কুরবানীর ঈদ।