প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২০ , ৭:৩৯:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে করোনার মধ্যেও বন্যার চোখ রাঙ্গানিতে নি¤œা লের মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। পুনর্ভবা, আত্রাই, গর্ভেশ্বরীসহ ছোট ছোট নদী ও খালবিল ইতিমধ্যেই ভরাট হয়ে গেছে। যে কোন মুহর্তে এ বন্যার পানিতে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়তে পারে। কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দিনাজপুরের নদীগুলো পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনাজপুরের তিনটি নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দিনাজপুরে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে নদীগুলোর আশেপাশের নিম্না ল প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়তে থাকলে রাতের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের কট্রোল রুম। এ দিকে শুক্রবারও বৃষ্টির পানি অব্যাহত রয়েছে।
দিনাজপুর পাউবোর পানি বিজ্ঞান উপ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যে নদীগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। দিনাজপুর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার বিপদসীমার বিপরীতে বর্তমানে পানির স্তর রয়েছে ৩০ দশমিক ১১ মিটার, আত্রাই নদীর ৩৯ দশমিক ৬৫০ মিটারের বিপৎসীমার বিপরীতে বর্তমানে ৩৮ দশমিক ৫৫মিটার ও ইছামতি নদীর ২৯ দশমিক ৯৫০ বিপৎসীমার বিপরীতে ২৬ দশমিক ৯৭ মিটারে অবস্থান করছে। বিকাল ৩টার পরও দিনাজপুরে ভারি বর্ষণ হয়েছে। এতে নদীর পারি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। অন্যান্য সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দিনাজপুর শহরের পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে আশে পাশের গ্রামগুলোর নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত। এ ছাড়াও দিনাজপুরের নিম্না ল প্লাবিত হয়েছে। আগাম তৈরি করা আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। আগামী ৩ তিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানান দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস।