প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২০ , ১:১৩:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে নোয়াখালীতে দিনের বেলায় রাস্তাঘাট ফাঁকা। হাট-বাজারে দিনের বেলায় মানুষের ভিড় দেখা যায় না।
প্রধান সড়কগুলোতে দিনের বেলায় দু-একটি গাড়ি চললেও সেনাবাহিনী ও পুলিশি টহল থাকায় গন্তব্যে না গিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ধরে চলে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই দৃশ্য বদলে যায়। রাতে চলে জমজমাট কেনাকাটা।
গত কয়েক দিনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, নোয়াখালীর জেলা-উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাট-বাজারের দোকানগুলোতে দিনের বেলায় শাটারে তালা ঝুলছে। কেউ কেউ আবার দোকান খুললেও শাটার থাকে অর্ধেক নামানো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে কিছু জরুরি খাবার সামগ্রী বিক্রি করলেও অল্প সময়ে বন্ধ করে দেয়। অনেকের দোকানে তেমন মালামাল নেই। কারণ বড় বড় পাইকারি দোকান বা আড়ৎ বন্ধ থাকায় জিনিসপত্র আনতে সমস্যা হয়। স্টকে যা আছে তাই দিয়ে কোনোরকম দিনগুলো পার করছেন দোকানিরা।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে জনসমাগম কম থাকলেও সন্ধ্যায় বেড়ে যায়। কারণ পরদিন আবার সংসারের সদস্যদের চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাগে। খানিকটা ভিড় দেখা যায় কাঁচাবাজারে। কারণ এটি পচনশীল হওয়ায় প্রতিদিনই কিনতে হয়।
রোববার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের চিত্র দেখে বোঝা যায়, মানুষ যার যার প্রয়োজনীয় কাঁচা তরকারি নেয়ার জন্য এসেছেন সাপ্তাহিক হাটে। সরকার নির্দেশিত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার নিমন থাকলেও সেটি মানেনি কেউ। সবার চোখে-মুখে একটাই চাওয়া যেকোনো মূল্যে বাজার বাড়ি নিতে হবে।
বাজার করতে আসা কয়েকজন জানান, কী করব ভাই। দিনের বেলায় তো বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ। তার ওপরে রাস্তাঘাটে রয়েছে পুলিশ। এজন্য ভয়ে বের হই না। কিন্তু সংসারে তো খাবারসামগ্রী দরকার। তাই আজ হাটবারে নিতে এসেছি। বাজারে না এসে উপায় ছিল না।
এদিকে, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) তন্ময় দাস রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, ‘অহেতুক জনসমাগম-আড্ডা বন্ধে ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রাখুন।’