প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:১৭:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
এম.ডি শিমুল, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) : চলতি মৌসুমে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার মাঠে উচু জমিগুলোতে কৃষকরা চাষ করছেন শীতকালীন সবজি টমেটো। বছরজুড়ে যদিও কৃষকরা প্রধান দুটি ফসল ধান ও গম চাষে সম্পৃক্ত থাকলেও শীতজুড়ে সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকগন। তবে ভাল ফলন ও দামের আশায় সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম জাতের সবজিগুলো চাষ করেন।
সাধারনত এই অঞ্চলের কৃষকরা আলু ও সরিষা চাষের পাশাপাশি টমেটো চাষেও বেশ আগ্রহী। তবে অবশ্যই আগাম এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর মধ্যে মিন্টু, রংধনু এবং সফল নামের জাতগুলো রোপনের বেশ আগ্রহী কৃষকরা। প্রতি শতকে একশরও বেশি টমেটো গাছ রোপনের সাথে সাথী ফসল হিসেবে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধুনাসহ সকল প্রকার শাকসবজি চাষ করতে দেখা গেছে এ অঞ্চলের প্রতিটি উচু জমিগুলোতে।
কৃষকরা বলেন, একটি ফসলে যদি ফুল, ফলের ফলন ভাল না হয় তবে অন্য ফসল দিয়ে ক্ষতি সহজেই পুষিয়ে নেয়া যায়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাট সাজাপুর গ্রামের টমেটো চাষী আহসান হাবীব বলেন, অভাব অনটনের সংসারে হাল ধরতে গিয়ে লেখাপড়া ছেড়ে কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি।
গত কয়েক বছর যাবত অন্যের জমি লিজ (পত্তন) নিয়ে টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছি । চলতি মৌসুমেও ১৩ শতাংশ জমিতে মিন্টু জাতের টমেটো চাষের জন্য মাটি উপযুক্ত করি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে গত ভাদ্রমাসে মাঝামাঝি সময় বীজ বপন করি। যা কার্তিক মাস থেকেই টমেটো বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজার ভাল থাকায় জমি থেকেই ৪৫-৫০ টাকা দরে টমেটো পাইকারী বিক্রয় হচ্ছে। জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, ঔষধ, ও পরিচর্যা বাবদ ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮০হাজার টাকার টমেটো বিক্রয় করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকায় টমেটোতে যেন উৎপাদনের জোয়ার এসেছে।
ভাল দাম ও উচ্চ ফলন হওয়ায় আশা করছি চলতি মৌসুমে সব খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, আমরা কৃষকদের সার, বীজ এবং পরামর্শের পাশাপাশি তাদের তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত টিম রয়েছে।