প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২০ , ৪:৫৪:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী পঞ্জিকা মতে মঙ্গলবার (অগ্রহায়ণের প্রথম দিন) সনাতন ধর্মালম্বীরা (বাঙালি) নবান্ন উৎসব পালন করেছেন। উপজেলার ফেঁপিড়া, সাবলা, গয়াবান্ধা, খানপুর, সরঞ্জাবাড়ী, কইল, আমষট্ট, মাজিন্দা, গোবিন্দপুর, ও উপজেলা সদরসহ এলাকার হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজন এ উৎসব পালনে নানা আয়োজন করে থাকেন। এদিন প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায় আতপ চাল গুলিয়ে আল্পনা আঁকে, উঠান ও ধানের গোলায় গোবর গুলিয়ে লেপ দেয়। সকালে ছোট ছোট ছেলের দল স্নান (গোসল) করে নতুন ধুতি পড়ে বয়স্ক লোকদের সঙ্গে আবাদি জমিতে যায়। সেখান থেকে তিন গোছা ধান কেটে তাতে সিঁদুর, কাজলের ফোটা, কলাপাতা দিয়ে ঢেকে মাথায় করে বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে আসে। এসময় গৃহবধূরা শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেয়। এ ধরনের অনুষ্ঠানকে এ অঞ্চলের হিন্দু স¤প্রদায়ে লোকজন আগকাটা (প্রথম ধান কাটা) বলে থাকেন। তারপর কাটা ধানগাছের গুচ্ছ ঘরের ছাদের তীরে আটকিয়ে রাখা হয়। এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি ঐতিহ্য। এদিকে এ নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাট বাজারে বড় বড় মাছের মেলা বসে। সাধ্যমত লোকজন রকমারী সবজি সহ বড় বড় মাছ কিনে হরেক রকম সুস্বাদু রান্না, নতুন ধানের চালের পায়েস, পিঠা, পুলি তৈরি করে মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয় স্বজনদের আপ্যায়ন করে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে দুপচাঁচিয়া মাছ বাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল বারিক রুবেল ২০কেজি ওজনের একটি ব্রিগহেড মাছ ২০হাজার টাকা দাম চাইলে ক্রেতারা ১৫হাজার টাকা পর্যন্ত দর হাকেন। দুপচাঁচিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুদেব কুমার কুন্ডু জানান, আবহমান কাল থেকেই সনাতন ধর্মালম্বীরা (বাঙালিরা) এ নবান্ন উৎসবটি ধুমধামের সাথে পালন করে আসছেন। সামাজিক ও লৌকিকতা উৎসব হিসাবে এটি আজও ধুমধামের সাথে পালিত হয়ে আসছে।