রাজশাহী

দেবরের ঘরে অন্তঃসত্ত্বা ভাবির ঝুলন্ত লাশ 

  প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২১ , ৮:৩৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বগুড়ার শেরপুরের পল্লীতে দেবরের ঘরে সাবিনা বেগম (৩০) নামের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

এদিকে ফাঁস লাগানোর ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে পুলিশ লাশ উদ্ধারের কাজে গেলে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক বছর আগে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে অটোরিকশাচালক শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে সাবিনার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কারণে-অকারণে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।

স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে বলেও সন্দেহ করতেন স্বামী শফিক। শুক্রবার দুপুরে সাবিনার স্বামী শফিক তার স্ত্রীকে মারপিট করে। এ ঘটনা শফিকের বড়ভাই জহুরুল ইসলাম শুনে তাদের মধ্যে মীমাংসাও করে দেন। পরে ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে দেবর রেজাউলের ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো সাবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

রশি কেটে গৃহবধূ সাবিনার লাশ নামিয়ে রাখা হয়। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে রাতেই মরদেহ থানায় নেয়া হয়। অন্যদিকে তড়িঘড়ি করে লাশ নামিয়ে ঘরে ফেলে রেখে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সব সদস্য লাপাত্তা হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন বিকালে ওই গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। এছাড়া গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। তাই এ মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এছাড়া ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content