প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২০ , ৮:৩৯:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাঠকদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘ডা. চয়েন উদ্দিন স্মৃতি’ নামের পাঠাগার। উপজেলার নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের গোছন গ্রামে অবস্থিত এ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বইপ্রেমী মানুষদের কাছে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজের লাইব্রেরিয়ান কামাল পাশা মরহুম বাবার নামে গোছন গ্রামে ‘ডা: চয়েন উদ্দিন স্মৃতি’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এতে প্রাথমিকভাবে ২২৫টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল, সাহিত্য, জীবনী, গল্প-কবিতা, চলচ্চিত্র, সাধারণ জ্ঞান, ধর্মীয়সহ অন্যান্য প্রায় ১৮০০ বই রয়েছে। আর এইসব বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে প্রতিদিন আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বইপ্রেমী মানুষরা।
পাঠকদের উন্নত মানসিকতার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে পাঠাগারটি। গত ২০১৪ সালে গণগ্রন্থাগারের আওতায় পাঠাগারটিকে সরকারি তালিকাভুক্ত করা হয়। বইপ্রেমী মানুষেরা বই ফেরত দেয়ার শর্তে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারবেন। বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলে বই দেওয়া-নেওয়া ও পড়ার কাজ। প্রতিবছর চয়েন উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে বিভিন্ন জাতীয় গণগ্রন্থাগার, কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, পাঠক সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ একাধিক সামাজিক কাজের সচিত্র প্রতিবেদন দেখানো হয়।
চয়েন উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারে বই পড়তে আসা আয়শা খাতুন, উম্মে হাবিবা নামের শিক্ষার্থী জানান, গ্রামে বসবাস করায় দূরের ভালো কোনো পাঠাগার বা গ্রন্থাগারে বই পড়ার সুযোগ হয় না তাদের। ফলে চয়েন উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে আসেন তারা।
এ বিষয়ে পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের লাইব্রেরিয়ান কামাল পাশা বলেন, পাঠকদের উপস্থিতি বলে দেয় আজকে ডা: চয়েন স্মৃতি পাঠাগারকে কানায় কানায় সুশোভিত। সবার সহযোগিতায় পাঠাগারটি এগিয়ে যাবে বহুদূর এবং বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে থাকবে তরুণ সমাজ।’
পাঠাগারের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গামা বলেন, ‘পাঠাগার এমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষ পৃথিবীর বিচিত্র সব জ্ঞানভান্ডারের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পায়। নিত্যনতুন উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতায় নিজেকে বিকশিত করা যায় পাঠাগারের মাধ্যমেই।’