রাজশাহী

নন্দীগ্রামে ১৩ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে যে লাইব্রেরি

  প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২০ , ৪:৪৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :

বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ১৩ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে একটি লাইব্রেরি। উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের হাটকড়ই সড়কের পাশে দামরুল গ্রামের অবস্থিত। লাইব্রেরি দেখভাল করেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ রওশন আলম। জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৩ মার্চ দামরুল পশ্চিমপাড়া গ্রামে লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) কোহিনুর বেগম।

তিনি দামরুল গ্রামের মরহুম ইমান উদ্দিনের কন্যা। লাইব্রেরি করার জন্য জায়গা দিয়েছেন কোহিনুর বেগমের চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম। এদের মধ্যে সাইফুল একটি প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক। চাচা আলতাব উদ্দিন, বাবা ইমান উদ্দিন এবং মাতা কায়ছান বিবির নাম অনুসারেই লাইব্রেরির নামকরণ করেন কোহিনুর বেগম। তিনি ঢাকা এবং কানাডায় বসবাস করার কারণে বাৎসরিক উৎসবে লাইব্রেরিতে আসেন। ধর্মীয়, উপন্যাসসহ বিভিন্ন ধরণের বই রয়েছে লাইব্রেরিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয় বৃদ্ধ রওশন আলমের সাথে। তার বাড়ির পাশেই লাইব্রেরি। তিনি বলেন, অবসর বাড়িতে বসেই থাকি, এজন্য নিজেই লাইব্রেরি দেখাশোনা করি। সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। অবসর সময়ে আশপাশের গ্রামের তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বইপ্রেমি নারী-পুরুষ এখানে এসে বই পড়েন। কেউ কেউ বই বাড়িতে নিয়ে গেলেও পরে ফিরিয়ে দেয়নি বলে দু:খ প্রকাশ করেন তিনি।

অনেক বই পুরাতন হয়ে গেছে। নতুন বই না থাকার কারণে পাঠাগারে বইপ্রেমীদের আসা-যাওয়া কমছে। আলতাব উদ্দিন, ইমান উদ্দিন এন্ড কায়ছান লাইব্রেরি নামে পরিচিত এই পাঠাগারকে টিকিয়ে রাখতে গ্রামবাসীর যৌথ সমন্বয়ে রয়েছে একটি পরিচালনা কমিটি। পাঠাগার কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বৃদ্ধ রওশন আলমকে।

বইপ্রেমী আব্দুল্লাহ আল নোমান ও রাসেল মাহমুদ জানায়, লাইব্রেরিতে প্রায় সবই পুরাতন বই। এজন্য বইপ্রেমিদের আসা-যাওয়া কমছে। নতুন বই সংগ্রহ থাকলে পাঠকের ভিড় বাড়বে। ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাঠাগারের কমিটি চাইলেই নতুন বই দেয়া হবে। এর আগে পাঠাগারে একটি সোলার দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content