চট্টগ্রাম

নবীনগর-ফতেপুর ব্রীজ না থাকায় বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হচ্ছে

  প্রতিনিধি ২৭ অক্টোবর ২০২০ , ২:৫৫:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. দেলোয়ার হোসেন, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে ভাটা নদীর ওপর জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন উপজেলার ৭টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। প্রায়ই সাঁকো থেকে পরে ঘটছে দূর্ঘটনা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী ওই সাঁকো থেকে পরে আহতও হয়েছেন।

প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা এই সাঁকোটি ওই এলাকার ৭ গ্রামের প্রায় ২ লাখ মানুষের নবীনগরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ১৯৩৭ সালে ্রু প্রতিষ্ঠিনটি ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হযরত ওয়ালীশাহ মাজার শরীফসহ একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ওই এলাকায়।

এলাকাবাসি জানায়, স্বাধীনতার আগে ও পরে নৌ-যোগে পারাপার হলেও প্রায় ৩০ বছর ধরে এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো জীবন ও জীবিকার তাগিদে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবছরই এই সাঁকোটি তৈরি করে চলাচল করছেন। এই সাঁকোটি তৈরি করতে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়। এলাকাবাসির কাছ থেকে চাঁদা তুলে সাঁকো তৈরি ও মেরামতের কাজ করা হয়। তবে শুরুর দিকে সাঁকোটির দৈর্ঘ্য ৩০০ মিটার থাকলে বর্তমানে সাঁকোর আশে পাশে মাটি ভরাটের ফলে তা দুইশ মিটার হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন। এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি সাঁকোর পরিবর্তে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে ওই এলাকার জনসাধারণের যেমন সুবিধা হতো তেমনি কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বয়ঃবৃদ্ধরা বেঁচে যেতেন নানান অনাকঙ্খিত দূর্ঘটনা থেকে।

এ ব্যাপারে পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যে বিগত সময়সহ বেশ কয়েকবার এই ব্রীজটি নির্মাণের আবেদন করা হলেও এ পর্যন্ত কাঙ্খিত সেই ব্রীজের মুখ এলাকাবাসি দেখেনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির জানান, এই ব্রীজটিসহ উপজেলার আরো ১৬টি ব্রীজের অনুমোদনের জন্য আমাদের এমপি মহোদয় মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই ব্রীজটি অনুমোদন পাবে।

আরও খবর

Sponsered content