প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২৫ , ৩:২৯:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
তানযীর তুহীন—একটি নাম, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্যতিক্রমী গানের কথা, অনন্য সুর এবং শিল্পিত উপস্থাপনা। তাঁর প্রতিটি গান যেন একেকটি নতুন অভিজ্ঞতা। তাই নতুন কোনো গান প্রকাশ পেলেই সংগীতপ্রেমীরা মুগ্ধতার বয়ান ছড়িয়ে দেন সমাজমাধ্যমে।
এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে আছে তুহীনের সাম্প্রতিক গান ‘ক্যাফে’, যা প্রকাশের পর থেকেই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে।
গানটির সূচনা প্রসঙ্গে তুহীন বলেন, “একদিন অর্ণব ফোন করে জানাল, একটা গান করতে চায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। পরে আমরা শুভেন্দুর সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করি। ওরা জানায়, স্প্যানিশ গান ‘Café’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’-র জন্য নতুনভাবে সাজানো হবে গানটি। এতে অংশ নেবেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে গৌরব চট্টোপাধ্যায় (গাবু), যিনি এখন লক্ষ্মীছাড়া ব্যান্ডের ভোকাল ও ড্রামার। আমি মুহূর্তেই রাজি হই—এভাবেই শুরু ‘ক্যাফে’-এর যাত্রা।” ‘ক্যাফে’ হলো কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান। শুভেন্দু দাস শুভর সংগীতায়োজনে এতে একত্র হয়েছে এফো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা এবং বাংলা গানের ধারা—যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এক প্রাণবন্ত, আন্তর্জাতিক মানের ফিউশন। এই আয়োজনেই যেন আবারও নতুনভাবে আবিষ্কৃত হচ্ছেন তানযীর তুহীন—যিনি একসময় শিরোনামহীন ব্যান্ডের হয়ে গেয়েছেন, আর এখন আভাস ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে পথচলা অব্যাহত রেখেছেন।
দীর্ঘ দুই দশকের সংগীতজীবনে তুহীন গেয়েছেন অসংখ্য একক, ব্যান্ড ও চলচ্চিত্রের গান। সবসময় নিজের স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন তিনি। অর্জন বা খ্যাতির হিসাব নয়, তাঁর কাছে গানই মুখ্য।
তুহীনের ভাষায়— “গান গেয়ে কী পেলাম বা পাইনি, সেটা কখনো ভাবিনি। মানুষ যেন গান শুনে, গানগুলো বেঁচে থাকে—এটাই আমার প্রাপ্তি।” তানযীর তুহীন বিশ্বাস করেন, সংগীত হতে হবে সময় ও জীবনের প্রতিফলন। তিনি বলেন, “আমি কখনো নির্দিষ্ট শ্রোতার কথা ভেবে গান করি না। জীবনের বাস্তবতা, অনুভূতি ও সময়ের পরিবর্তন—এইসবই আমার গানের বিষয়। আমি মনে করি, সময়ের সঙ্গে মানুষ সস্তা জনপ্রিয়তার বাইরে গিয়ে সত্যিকারের শিল্পের দিকে ফিরে আসবে।”
এভাবেই তানযীর তুহীন হয়ে উঠেছেন নাগরিক কোলাহলের কবি—যিনি গানের মাধ্যমে শহুরে জীবন, প্রেম, হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি আর সময়ের স্রোতকে শব্দ ও সুরে বন্দি করেন।

















