দেশজুড়ে

নীলফামারীতে কোয়ারেন্টিন থেকে ২৮ শ্রমিক উধাও!

  প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২০ , ২:১৬:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলফামারীতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ২৮ ভাটা শ্রমিকের হদিস মিলছে না। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১০টি গ্রামে।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে জেলার সদর উপজেলার ১১ নম্বর সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় সরকারি প্রাথমিক বিদ‌্যালয়ের কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে এসব শ্রমিক পালিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, সৈয়দপুর থানা পুলিশ সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের চৌমুহনী বাজারের অস্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট থেকে মঙ্গলবার সকালে ৪৪ জন ভাটা শ্রমিককে আটক করে। তারা ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে বিশেষ কায়দায় গাজীপুর থেকে পালিয়ে আসতেছিলো। পরে পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ‌্য বিভাগ বিকেল ৪টার দিকে আটক ভাটা শ্রমিকদের তাদের নিজ গ্রাম নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় ও চকদুবলিয়া গ্রামের দু'টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখেন। কিন্তু সন্ধ‌্যার পরপরই স্থানীয়রা দেখতে পান কোয়ারেন্টিন না মেনে ওইসব শ্রমিক বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম‌্যান ও থানাকে অবহিত করে। মুহূর্তে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ফিরে নাই। যদি ফিরিয়ে আসে ওইসব শ্রমিক, তাহলে পরিবারের সঙ্গে রাত্রী যাপনের কারণে তাদের পরিবার লকডাউন করার দাবি এখন গ্রামবাসীর।

ঘটনার সত‌্যতা স্বীকার করে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম‌্যান মোস্তফা কামাল জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা শ্রমিকদের দেখভালের জন‌্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস‌্য ও গ্রাম পুলিশ নিয়োজিত ছিলো। কোয়ারেন্টিনে থাকা শ্রমিকদের রাতের খাবারের ব‌্যবস্থা করার সময় ওই এলাকা থেকে এক ব‌্যক্তি ফোন করে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানান।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম কোয়ারেন্টিনে থাকা শ্রমিকদের পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার কয়েকজন শ্রমিককে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া নয়। তবে এ ঘটনাটি নিরসনে দ্রুত ব‌্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content