প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২২ , ৭:১৫:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তাকে বন্যাদুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ চুরির অভিযোগে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) আটক ইউপি সচিব হলেন মুছা মিয়া (৪০) ও উদ্যোক্তা নাসিম আহমেদকে (৩০) কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আটক করে পুলিশ।
খালিয়াজুরী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব মোহন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “স্থানীয় গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে চুরিকৃত ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সচিব ও উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়।”
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারি ত্রাণের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী সোমবার (২০ জুন) রাতে মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তা নাসিমের তত্ত্বাবধানে মজুত রেখে বাড়ি চলে যান চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার সকালে চেয়ারম্যান মো. আবু হাকিম পরিষদে গিয়ে ত্রাণসামগ্রী কম দেখতে পান। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানান চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান ইউএনও।
এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বোয়ালী বাজারে উদ্যোক্তা নাসিমের স্টুডিওতে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে ইউপি সচিব মুছা মিয়া ও নাসিমকে আটক করা হয়। এ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বন্যাদুর্গতরা।
এ বিষয়ে মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হাকিম বলেন, “সোমবার রাতে ত্রাণসামগ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুছা মিয়া ও পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা নাসিম আহমেদের তত্ত্বাবধানে রেখে যাই। মঙ্গলবার সকালে ত্রাণসামগ্রী কম দেখতে পেয়ে গণনা করে কম পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনওকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পরে চুরি হওয়া ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার ও সচিব মুছা মিয়া এবং উদ্যোক্তাকে আটক করে পুলিশ।”
খালিয়াজুরীর ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, “ত্রাণ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সচিব মুছা মিয়া ও উদ্যোক্তা নাসিমকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যারা নয়-ছয় করবে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”