প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২২ , ৭:১১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান মিম্মা তাবাস্সুমের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিং, মানসিক হেনস্তাসহ ১০টি অভিযোগ করেছেন বিভাগটির মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১২ অক্টোবর) বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর এ অভিযোগ করেন তারা। লিখিত অভিযোগে ২২ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর রয়েছে।
অভিযোগে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, তারা পাঁচ বছর ধরে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়ন করছেন। ২০২১ সালের ৩ মে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান মিম্মা তাবাস্সুম বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের নম্বর টেম্পারিং, মানসিক হেনস্তাসহ নানাভাবে অপদস্থ করে আসছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা মিম্মা তাবাস্সুমের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ করেন।
অভিযোগগুলো হলো—ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে শিক্ষার্থীদের নম্বর টেম্পারিং করা, সম্মিলিতভাবে পূর্বঘোষণা দিয়ে পুরো ব্যাচের নম্বর টেম্পারিং করা, বিভাগের অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা, ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড় বলে শিক্ষার্থীদের হেয় করা এবং কথায় কথায় নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করা, শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কটূক্তি করা, ল্যাব রুমে ক্লাস করার সময় কটু কথা বলে শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করা, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা, উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে শিক্ষার্থীদের হেয়প্রতিপন্ন করা, ‘তোমাদের ব্যাচ থেকে কিভাবে টিচার হয়, আমি তা দেখে নেব’ বলে হুমকি দেওয়া, কর্মচারীদের ভুল তথ্যে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগটির মাস্টার্সের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, মিম্মা তাবাস্সুম বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরই মানসিকভাবে হেনস্তাসহ তাদের নানাভাবে হয়রানি ও খারাপ ব্যবহার করা শুরু করেন। তাঁর হয়রানির শিকার হয়ে এক মেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে অন্য ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও ‘তোমাদের খাতা দেখে নম্বর দেইনি মুখ দেখে দিয়েছি’ শ্রেণিকক্ষে এসব কথা বলেন তিনি অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান মিম্মা তাবাস্সুমকে তার মোবাইলফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. হানিফ মুরাদ বলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আমার নিকট একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী সোমবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।