বরিশাল

পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:২৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর সরকারি মহিলা কলেজে চলছে রমরমা অবৈধ ভর্তি বানিজ্য। এবারও শতাধিক শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ভর্তি করা হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, পূর্ব ঘোষনা ছাড়া কোনো আসনে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবেনা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে ঘোষিত আসনের বাইরে নানা প্রক্রিয়ায় ছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তি নিয়েও নানা কৌশলের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিধিবহির্ভূত এই ভর্তির নেপথ্যে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রফেসর মেজবাহ্ উদ্দিন সাগর, প্রধান অফিস সহকারী মো. দেলোয়র হোসেন ও এমএলএসএস পলাশ চন্দ্র পাল, মো. বেল্লাল হোসেন এর নাম উঠে এসেছে। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে শিক্ষা বোর্ডের খরচ অযুহাত দেখিয়ে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তির শেষ তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর। ভর্তি চলাকালিন সময় যারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি তাদের কাছ থেকে কলেজে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে প্রফেসর মেজবাহ্ উদ্দিন সাগরের নেতৃত্বে প্রধান অফিস সহকারি ও এমএলএসএস মাধ্যমে তারা ছাত্রীদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ভর্তি কমিটি সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হলে এবিষয় তারা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে ভর্তি কমিটি অবগত নয়, তবে অধ্যক্ষ আমাদেরকে বলেছেন মেধা তালিকায় ঊত্তীর্ণদের ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর আপনাদের আর কোন কাজ নেই। মেনুয়্যাল ভর্তির সকল কার্যক্রম প্রফেসর মেজবাহ্ উদ্দিন সাগর কাজ করবে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী শহরে অসহায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয় অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। এবার অন লাইনে ভর্তির কোঠা আমাদের কম ছিল। তাই যে পরিমান ছাত্রী অনলাইনে ভর্তি হয়েছে সমপরিমান ম্যানুয়ালে ভর্তি করা হবে। তবে আমি অভিযোগটি সঠিক তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক যে সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে ম্যানুয়াল ভর্তির সময় তা ফেরত দেওয়া হবে এবং বোর্ড থেকে নির্ধারিত টাকাই নেওয়া হবে।
এবিষয় প্রফেসর মেজবাহ্ উদ্দিন সাগর উত্তেজিত হয়ে বলেন, ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়টি কলেজের একমাত্র অভ্যন্তরিণ ব্যাপার। কলেজের উপধ্যক্ষ আবদুল মালেক বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, নিরুপায় হয়ে আমরা আমাদের সন্তানকে সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি করানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত অর্থের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করেছি। কলেজ কর্তপক্ষ আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নিয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content