প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫:৪৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
পেঁপে চাষ করে সফল পলাশবাড়ীর আজাদ। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে এখন বেশ চাহিদা সৃষ্টি করেছে। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙিনায় চাষ করা হতো ফলটি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় উপজেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে পেঁপের।
পলাশবাড়ী পৌরসভার সিধন গ্রামের মো. ছামাদ মাস্টারের ছেলে আজাদ, মৃত ওমরের ছেলে আইয়ুব, মৃত হায়দার আলির ছেলে দুলা মিয়া, ওমরের ছেলে এমদাদুল বর্তমানে পেঁপে চাষে সফল একজন চাষি। গতকাল সরেজমিন তাদের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য পেঁপে। বর্তমানে পেঁপে তুলে বিক্রি করলেও গাছের পেঁপে যেন শেষই হচ্ছে না। তাদের বাগানে হাইব্রিড জাতের পেঁপে চাষ করা হয়।
সফল পেঁপে চাষি আব্দুস ছামাদ মাস্টারের ছেলে আজাদ জানান, ৫ বিঘা জমিতে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। বর্তমানে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন তার বাগান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও গাইবান্ধা সদরসহ দেশের দূরদুরান্ত থেকে পাইকাররা পাকা এবং কাঁচা পেঁপে কিনতে আসে বাগানে। এর পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজ ছিল। পেঁয়াজেরও বাম্পার ফলন হয়েছিল। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যদি সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যেত, আমরা আরো সফলতা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা আমার পেঁপে বাগানে একটি দিনের জন্যও আসেনি। আমি অনেক ঘুরেছি কৃষি অফিসের লোকজনের পিছনে তবুও ওরা আসেনি।
বর্তমানে পেঁপে চাষে আজাদ হয়ে উঠেছেন পলাশবাড়ী পৌরসভার মডেল। তার বাগানের পেঁপে আরো দুই বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে জানান তিনি। তার সফলতা দেখে গ্রামের অন্যরাও পেঁপে বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিধন গ্রামের অনেক কৃষক জানান, আজাদ শিক্ষিত ছেলে। সে হঠাৎ করেই মাঠে পেঁপে ও সাথী ফসল পেঁয়াজ চাষ শুরু করে সফল হয়েছেন। তার চাষ দেখে আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই পেঁপে চাষের পরিকল্পনা করছে। একই গ্রামের ওমর আলির ছেলে আইয়ুব আলির জমিতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ২২ শতাংশ জমিতে পেঁপের বাগানের মাঝে সাথী ফসল হিসেবে আদার চাষ করেছেন। পেঁপে এবং আদা দুই ফসলের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফাতেমা জানান, পেঁঁপেতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পেঁপে চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।