প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৩ , ৬:০৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের যে কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে তাতে আগামী ২০২৫ সালের পর সরকারি কোন কাজে পোড়ামাটির ইটের ব্যবহার থাকছে না। টেঁকসই উন্নয়নের দিক বিবেচনা করে ইটের বিকল্প হিসেবে ইউনি ব্লক দিয়ে উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন সরকার।বিটুমিনাস এবং সাধারণ ইটের সড়কের পরিবর্তে বালু এবং পাথরের তৈরী পরিবেশবান্ধব ইউনি ব্লক দিয়ে সড়ক তৈরি কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। পরিবেশবন্ধব এসব ইউনি ব্লকের ব্যবহার বাড়লে ইটের ব্যবহার বন্ধ হবে এবং দেশের আবাদি জমি রক্ষা পাবে। পরিবেশ দূষণও কমবে।
তারই ধারাবাহিকতায় টেঁকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাইকগাছায় প্রথম বারের মত কংক্রিট দিয়ে (ইউনি ব্লক) পদ্ধতিতে রাস্তা নির্মাণ কাজের শুরু হয়েছে। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ফার্ম হতে উত্তর দিকে হিতামপুর সাধু পাড়া পর্যন্ত ৪ শত ৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২.৭ মিটার প্রস্থ । রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করেছে উপজেলা এলজিইডি। নির্মাণ চুক্তি মূল্য ২৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫১২ টাকা ধরা হয়েছে।
সরেজমিনে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদরের গদাইপুর ইউনিয়নের এই রাস্তায় ইউনি ব্লক দিয়ে রাস্ত নির্মাণ করছে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ। রাস্তার দু’পাশের কংক্রিট বা ইউনি ব্লক দিয়ে হেজিং লাইন বসানো হয়েগেছে। রাস্তার মধ্যে ইউনি ব্লক বসানোর তোরজোর শুরু করছে। এক ফাঁকে এ প্রতিনিধির সাথে ঠিকাদার এম এম আ: সামাদের কথা হয়। এই প্রথম ইউনি ব্লক দিয়ে পাইকগাছায় রাস্তা নির্মাণ করছি। রাস্তা টি দৃষ্টিনন্দন হবে। কারপেটিং এর রাস্তার চেয়ে এই রাস্তা টেঁকসই মজবুত হবে বলে তিনি আশাবাদী। স্থানীয় পীযুষ সাধু, কল্লোল মল্লিক, জিয়ারা বলেন, এই প্রথম কারপের্টিং এর বদলে খাজকাটা সিমেন্টে ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ দেখছি। মনে হচ্ছে এই রাস্তা অন্য রাস্তার চেয়ে মজবুত হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমান খান বলেন, এই প্রথম পাইকগাছায় ইউনি ব্লক পদ্ধতিতে রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে এসেছি। “গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প” এর আওতায় সদর উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নে ৪৩১ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউনি ব্লক দিয়ে সড়ক তৈরি কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে সঠিক ভাবে বুঝে নেয়া হবে । তিনি আরও বলেন, আশা করা যাচ্ছে এই পদ্ধতিতে তৈরি রাস্তা অন্যান্য রাস্তার চেয়ে অনেক বেশি টেঁকসই হবে। একই সাথে সরকারের উন্নয়নের কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে