প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৫ , ৬:১৭:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
পাওনা টাকা চাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানধীন হামজারবাগ এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার ওই ব্যবসায়ীর নাম শাহাদাত হোসেন (জনি)। তিনি হামজারবাগ এলাকার মা টেলিকম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন গত ২৪ এপ্রিল তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। আনুমানিক রাত ১১টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ব্যবসায়ী শাহাদাতকে আওয়ামী দোসর ঘোষণা দিয়ে মব সৃষ্টি করে টেনে হেঁচড়ে মারধর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তারা শাহাদাতকে বিবিরহাট আবেদশাহ মাজারের সামনে অন্ধকার নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় শাহাদাতের চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা তাকে আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা যায়, শাহাদাত হোসেনের উপর মব সৃষ্টিকরে হামলা করা ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল হামজারবাগ এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসী ফয়সাল। ফয়সালের বিরুদ্ধে নগরীর পাঁচলাইশ থানায সহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যা চেষ্টা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, মা টেলিকম ও আইমান টেলিকম নামে আমার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কামরুল হাসান ৫ বছর আগে আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিল, সেই হিসেবে তার সাথে আমার কিছু অর্থিক লেনদেন হয়। তাকে কাছে আমার সর্বমোট ৫৯ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। তা আমার ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্ট চেক করলে তাকে আমি টাকা দিয়েছি তার সতত্যা পাওয়া যাবে। মূলত সেই পাওয়না টাকা না দেওয়ার জন্যই আমাকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তুলে নিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। হামলায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসাবে অংশ নেন ফরহাদ, সেলিম ওরফে মিঠা সেলিম, আলী ওরফে পাগলা আলী, বাবুল গুপ্ত, রুবেলসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জন।
এ ঘটনায় আমি পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ কামরুলকে আটক করে। পরবর্তী সে জামিন নিয়ে উল্টো আমার নামে একটা মিথ্যা মামলা করেছে। কামরুল শুধু আমাকে হত্যা চেষ্টা করেই শান্ত হয়নি, এখন মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়তই হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কে দিন পার করছি।
তবে এ সকল অভিযোগের সত্যতা জানতে অভিযুক্ত কামরুল হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সকল অভিযোগ মিথ্যা, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না।
ঘটনার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলী বিন কাসিম বলেন, ব্যবসায়ী শাহাদাতের দেওয়া তথ্য মতে আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।