প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২০ , ১২:৩৮:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
মঞ্জুর হোসেন মিলন, গাজীপুরঃ পহেলা বৈশাখে পার্লারগুলো থাকে জমজমাট আর এবার প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা বন্ধ করে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিষন্ন মনে আজ ঘরেবন্দি। বেকারত্ব ঘোচাতে নারী উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান সৃস্টি করেছিল পার্লার ব্যবসার মাধ্যমে। নিজের সংসার চালানোসহ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে অর্থনীতিতে। বৈশাখী বাণিজ্যের অংশ ক্ষুদ্রশিল্প পার্লার অদৃশ্য আগ্রাসী অপশক্তি মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নববর্ষের আনন্দ স্লান হয়ে গেছে। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় এ ব্যবসায় জড়িত শিল্পীরা বেকার হয়ে গেছে। এ অবস্থায় গাজীপুর শহরের শিমুলতলী এলাকার পার্লার মালিক খ্রিষ্ট্রান ধর্মাবলম্বি লিপি বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন।
গাজীপুর শহরের ছায়াবিথী এলাকার বড় পার্লার আপছন বিউটি পার্লার, জেন্টস পার্লার ও কসমেটিকস্ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ৮২জন কর্মচারী কাজ করেন। সরকার করোনার ছুটি ঘোষণার পর কর্মচারীদের অল্প কিছু টাকা দিয়েছি। দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকায় বেতন দিতে পারছিনা কর্মচারীদের। আমরা পার্লার ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত।
আপছন বিউটি পার্লার পরিচালনাকারী সুফিয়া আক্তার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান, ঈদ, পহেলা বৈশাখ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টর সানডে সহ বিশেষ দিবস ঘিরে নারীদের ঝোঁক সাজা। বছরের মধ্যে পহেলা বৈশাখে পার্লার ব্যবসা জমজমাট হয়। আর রমজানের আগে বিয়ের অনুষ্ঠান বেশী হয়। এবার করোনার কারণে আমাদের বেহালাবস্থা।
শহরের শিমুলতলী এলাকার অঙ্গনা বিউটি পার্লার মালিক লিপি বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলাচিঠিতে বলেছেন, মা জনণী শুনুণ আমাদের করুণ আর্তনাদ করোনাভাইরাস আঘাতে ভালো নেই বাংলাদেশের পার্লার মালিকরা। বাংলাদেশ হাজার হাজার বিউটি পার্লার রয়েছে। বেশিরভাগ ছোট এবং মাঝারি বিউটি পার্লার। বড় পার্লার আছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি। করোনাভাইরাসের জন্য ছোট এবং মাঝারি বিউটিপার্লার গুলির অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। মার্চের ২০ তারিখ থেকে এখন অবধি সব পার্লার বন্ধ। বেশিরভাগ পার্লার মালিকগণ তাদের এই বিজনেস এর উপাজিত অর্থে সংসার চালিয়ে থাকেন। এপ্রিলের ১২ তারিখে হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ইস্টার সানডে আর ১৪ তারিখ পহেলা বৈশাখ। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্লার ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দিতে সরকারের সহায়তা দরকার বলে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।