প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২১ , ৬:৩০:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নে মেঘনা নদীর পাড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, এসআই আবদুস সালাম (৪৫), এএসআই ফয়সাল কবির (৩৬), মো. শাহআলম (৩৬), কবির হোসেন (৪০), পুলিশ সদস্য কবির হোসেন (৪০) ও জেলে হারেস আলীসহ কমক্ষে ১০ জন আহত হয়।
আহত ৪ পুলিশ সদস্যের মধ্যে কনস্টেবল কবির হোসেন ও জেলে হারেস আলী ব্যাপারীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরঝাপটা এলাকায় মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরছিল জেলেরা। এ সময় পুলিশের ১টি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে পুলিশের সাথে জেলেদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। জেলেরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশও তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়। পুলিশের মামলার ভয়ে জেলেরা লুকিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) রুবেল মোল্লা বলেন, ইলিশ রক্ষা অভিযানের নিয়মিত টহল হিসেবে মেঘনা নদীতে ভোর ৪টা থেকে অভিযান শুরু করি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেঘনা এলাকার চর ঝাপটায় গিয়ে নদী থেকে জাল তুলছিলাম। সে সময় জেলেদের রোষানলে পড়ি।
এক পর্যায়ে ঝাপটা গ্রামের ২ থেকে আড়াই শতাধিক জেলে, নারী-পুরুষ আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা আত্মরক্ষার জন্য ৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়ি। তাদের হাতে দা, বটি, লাঠি ছিল। আমরা জীবন বাঁচাতে পানিতে লাফিয়ে পড়ি। সেখানে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৪ জন সদস্য আহত হয়। তাদের লোকজনও আহত হতে পারে।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. সোহাগ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আমাদের এখানে ৪জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মধ্যে পুলিশের ১ সদস্যের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি নৌ পুলিশের। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।