প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২০ , ১১:৪২:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে মারা যান প্রবীণ এ আইনজীবী। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রফিক-উল হক।
রফিক-উল হকের স্ত্রী ফরিদা হক বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। তার ছেলে ফাহিম-উল হকও আইনজীবী।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। তার বাল্যকাল কেটেছে কলকাতার চেতলায়। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তৎকালীন পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে চলে আসেন ঢাকায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফৌজদারি আইনে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
সফলতার অনেক গল্পই আছে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াই বিপুল পরিচিতি এনে দেয় তাকে। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সঙ্গে তাদের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতেও দ্বিধা করেননি তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে আইন প্রণয়নে তারও ভূমিকা ছিল। ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক। কিন্তু কোনো সম্মানী নেননি তিনি। পেশাগত জীবনে সফল এই মানুষটি অর্থ, বিত্তবৈভবের প্রতি মোহ ছিল না মোটেই। বিলিয়েছেন অর্থ মানুষের সেবায়। গড়েছেন হাসপাতাল ও মসজিদ। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য সেবামূলক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
উজ্জ্বল ব্যতিক্রমের উদাহরণ রেখে চলে গেলেন তিনি। তবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার যে মশাল জ্বালিয়ে গেলেন তা আলো দেবে আগামীর মানুষকে।