প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২০ , ২:৩৯:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মো. সেলিম খান একসময় ছিলেন দিনমজুর। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হয়েছে ভাগ্যবদল। এরপর বনে গেছেন রাজনৈতিক নেতা। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের স্পর্শে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
সেলিম খান বর্তমানে চাঁদপুরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি আছে তার।
অভিযোগ আছে, অবৈধভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকা বৈধ করতে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নামেন সেলিম খান। চলচ্চিত্রে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এসব অর্থের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। শাপলা মিডিয়া নামে প্রযোজনা সংস্থা আছে সেলিম খানের।
এর বাইরেও দুদকের অনুসন্ধানে সেলিম খানের প্রায় ২১ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসবের মধ্যে আছে রাজধানীর কাকরাইলে ৪ তলা ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১০ তলা বাড়ি, কাকরাইলে ফ্ল্যাট, দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি, সাড়ে ৪ একর জমি ইত্যাদি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সেলিম খান ও তার স্ত্রী শাহানারা বেগমের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠান অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, অবৈধ সম্পদের অভিযোগ ও নোটিশপ্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করে সেলিম খান বলেছেন, ‘আমার সম্পদের বিষয়ে ট্যাক্স ফাইলে বলা হয়েছে। এর বাইরে আমার অবৈধ সম্পদ নেই। দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়ে জানা নেই। দুদকের নোটিশ পাইনি।’ : রাইজিংবিডি