বাংলাদেশ

ফারদিনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, যা বললেন বাবা

  প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২২ , ৫:৩৪:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

এক প্রশ্নের জবাবে ফারদিনের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে মাদক তো দূরের কথা, সিগারেটের ধোঁয়াও সহ্য করতে পারতো না। আমার তিন ছেলের কেউই সিগারেট খায় না। আর তার সম্পর্কে বলা হচ্ছে সে নাকি ফেনসিডিল সেবন করতো। এটি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না।’

বুশরা ও আয়শার সঙ্গে ফারদিনের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের আমরা বা আমাদের পরিবারের কেউ চিনতো না। বুশরার বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণ, আমার ছেলে ঘর থেকে তার মাকে যা বলে বের হতো তার থেকে ভিন্ন কিছু করতো না। পরদিন তার পরীক্ষা ছিল। সে বলে বেরিয়েছে যে হলে গিয়ে গ্রুপ স্টাডি করবে। কিন্তু আমরা জানতে পারি সে নাকি রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে ওই মেয়ের সঙ্গে ছিল। তাই আমাদের সর্বশেষ সাসপেক্ট ছিল সে।’

কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, ‘আমার সন্তান ৪ তারিখে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। এরপরের দুদিন কী তদন্ত করেছে সেটা আমরা জানি না। আইনের প্রতি আস্থা থাকলেও তদন্ত কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নই।‘

মানববন্ধনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ফারদিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকস্তব্ধ ও ক্ষুব্ধ। ইতোমধ্যে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের সাতদিন অতিবাহিত হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রকৃত হত্যাকারী চিহ্নিত হয়নি এবং হত্যার কারণ এখনও উদঘাটিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের ওপর আমরা আস্থাশীল। আমরা বিশ্বাস করি, তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে ফারদিন হত্যার তদন্ত চালিয়ে যাবেন এবং দ্রুততম সময়ে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

হত্যাকারীদের শনাক্ত করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও জানান তারা।

গত ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফারদিনের লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে।

আরও খবর

Sponsered content