প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২০ , ১:০০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
পুলিশের দাবি, তার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিলো। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি। গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফিলাডেলফিয়ায় শহরে দ্বিতীয় দিনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাতভর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এটিএম বুথে লুটপাটেরও খবর পাওয়া গেছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রতিবাদকারীরা।
জানমালের নিরাপত্তায় শহরে পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন গভর্নর টম ওল্ফ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা সদস্যদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ পুলিশ আহত হয়েছেন। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে কমপক্ষে একশ জনকে।
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ফিলাডেলফিয়া পুলিশ।
ওয়ালেসের পরিবার জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন ওয়ালেস।
শহরটির মেয়র জিম কেনি বলেছেন, এই ঘটনা আবারো এক কঠিন প্রশ্নকে সামনে এনেছে যার জবাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতে হবে।
এর আগে, পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামক এক কৃষ্ণাঙ্গের নির্মম মৃত্যু হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর প্রতিবাদে জানায় মানুষ।