এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) আরাকান সড়কমুখী পাশাপাশি দুটি র্যাম্পের পিলারে ফাটল পায়নি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিদর্শক দল। আজ মঙ্গলবার র্যাম্পটি পরিদর্শন করে দলটি।
পরিদর্শক দলে থাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, যেটি ফাটলের মতো মনে হচ্ছে, সেটি আসলে ফাটল নয়। দূর থেকে ছবি তোলায় মনে হবে ফাটল। আমরা ওপরে উঠে দেখেছি, পরীক্ষা করেছি। এটি ‘ফলস কাস্টিং’।
র্যাম্পটিতে ফাটল নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে জানান পরিদর্শক দলের আরেক সদস্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চের পরিচালক ড. আব্দুর রহমান।
র্যাম্পটির পিলারে বড় কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি জানিয়ে পরিদর্শক দলের আরেক সদস্য চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, `আগামীকাল বুধবারই পরিদর্শক দল প্রতিবেদন দেবে। সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা মেজর কোনো ফল্ট পাইনি।’
এর আগে ২৫ অক্টোবর রাতে ‘ফ্লাইওভারে ফাটল’ শিরোনামে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর চান্দগাঁও থানার পুলিশ আরাকান সড়কমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরদিন পরিদর্শনে গিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী নির্মাণ ত্রুটির কারণে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
ওই দিন বিকেল পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমানও বলেন, ভারী যানবাহন চলাচল অথবা নির্মাণকাজে ভুল থাকার কারণে পিলারে ফাটল ধরতে পারে। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি আবার দাবি করেন, যেটিকে ফাটল বলে আলোচনা করা হচ্ছে, বাস্তবে সেটা ফাটল নয়, এটি ফলস কাস্টিং।
পরে ২৭ অক্টোবর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড কনসাইনমেন্টের (ডিপিএম) কর্মকর্তারা বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার পরিদর্শন করে জানান, এটি ফাটল নয়, ফলস কাস্টিং।