ময়মনসিংহ

বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

  প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৪:১০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

বিজয়ের মাসের ৪ ডিসেম্বর ছিল ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ধানুয়া কামালপুরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বরাবরের মতো এবারও হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জামালপুর জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব বৃন্দ সম্মিলিত ভাবে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। এই দিবস উপলক্ষ্যে স্মৃতি সৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুস্পস্তবক অর্পন ও ধানুয়া কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা,বকশীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)আসমা-উল-হুসনা, বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর,বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা খন্দকার শাকের আহমেদ, সাবেক কমান্ডার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নওশেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আমিনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মতিউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মমতাজ আলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত।

আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে এখানে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। তাদের মূল টার্গেট ছিল উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আঘাত হেনে যে কোনো মূল্যে ওই ঘাঁটি দখল করা। কামালপুর রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী আক্রমণ ও প্রতিরোধের মুখে আজ ৪ ডিসেম্বর কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য আত্মসমর্পণ করে। এখানে খণ্ড খণ্ড যুদ্ধে ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনার স্মৃতিচারণ , ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবসের গুরুত্ব নিয়ে তাপর্যপূর্ণ আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ ও তাদের পরিবারবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

আরও খবর

Sponsered content