প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২৪ , ৮:০৬:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মনিরামপুরের মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনা সাজানো নাটক। ২৫ মে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন ও নব-নির্বাচিত এমপি ইয়াকুব আলী সেখানে যান যেটা পরিকল্পিত।
তারা অফিস খুলে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙ্গা দেখতে পান। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করেই তাৎক্ষণিক তারা সেখানে প্রতিবেদন সমাবেশ করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আক্তার ফারুক মিন্টুকে ঘটনার জন্য দোষারোপ করেন যেটা সঠিক নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন আমি উপজেলা পরিষদে বিজয়ী হওয়ায় গত ২৪ মে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আমাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আমি ও দলীয় লোকদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যাই। তবে সেখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন ও সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী স্থানীয় চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টুকে দোষারোপ করছেন। যা সঠিক নয়। ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করতে পারে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান ও মহিতুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. বসির খান, খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ, ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং খানপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২৪ মে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু লোকজন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে লোকদেরকে সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ছবি সম্বলিত প্যানা ছিড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের কারণেই যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে।
বিষয়টি জানার পর ২৫ মে সংসদ সদস্যসহ আমি সেখানে যাই। এবং ছবি ভাংচুর ঘটনা দেখার পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করা হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সবুরকে বাদী করে মনিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তাছাড়া বিষয়টি সংগঠনের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যে এসএম ইয়াকুব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।