দেশজুড়ে

‘বন্যায় ঘর তলিয়ে গেছে, এখন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি’

  প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২৪ , ৫:৪৯:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

‘বন্যায় ঘর তলিয়ে গেছে, এখন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি’

৭৫ বছর বয়সী অন্তরা ময়ল। পুত্রবধূ, নাতি ও ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের দুপাখালী এলাকায়। কিন্তু পাহাড়ি ঢল আর প্রবল বর্ষণের ফলে অন্তরা ময়লের বসতিঘর তলিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়েছে। তাই কোমর পানি মাড়িয়ে ছূটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজে।

আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সঙ্গে কথা হয় অন্তরা ময়লের। তিনি বলেন, বন্যার পানিতে ঘরের সব কিছু তলিয়ে গেছে। দুপাখালী থেকে হেঁটে বৃষ্টিতে ভিজে আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজে বের হয়েছেন। সড়কে পানি আর পানি। রিকশা গাড়ি কিছু চলছে না। বন্যায় ঘর তলিয়ে গেছে। এখন জান বাঁচাতে বৃষ্টিতে ভিজে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

তার মতো আশ্রয়কেন্দ্রেরর খোঁজে বের হওয়া আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘বন্যার পানির স্রোতে আমার ঘরের বেড়া ভেঙে গেছে। ঘরের ভিতরে আর থাকার মতো না। পরিবারের সদস্য নিয়ে বিপাকে পড়েছি। আশ্রয়কেন্দ্রে দ্রুত না গেলে বন্যার পানিতে পড়ে বাচ্চাদের বড় বিপদ হতে পারে। তাই বাড়িঘরের সব ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাচ্ছি।’

আজ বুধবার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত বন্যার কবলে পড়েছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, ধর্মপাশা-মধ্যনগর, বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানি ঢুকে সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে। শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। 

আরও খবর

Sponsered content