প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২০ , ৩:৩৫:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
সোহরাফ হোসেন, বরগুনা : সারা বিশ্বে যখন করোনা নিয়ে জর্জরিত ঠিক তখনি দেখা যায় বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার, সদর উপজেলার ইউএনও মাসুমা আক্তারকে দেখা গেছে দিন রাত তার উপজেলাবাসীর পিছনে ছুটতে, তার অক্লান্ত পরিশ্রম করোনাকে জয় করতে শিখে নিয়েছে, নিজের চিন্তা বাদ দিয়ে সে তার মেধা দিয়ে তার উপজেলায় একটি টিম গঠন করেছেন এই টিমে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা রয়েছেন তারাও তাদের ভালোবাসার প্রিয় মানুষ প্রিয় মুখ বরগুনা সদর উপজেলাবাসীর মঙ্গলকামী মাসুমা আক্তার ইউএনও এর নেতৃত্বে, তার এককথায় নিজেদেরকে তার পাশে এনে দাড় করিয়েছেন স্বেচ্ছায় দেশ ও জাতির চিন্তা করে।
উল্লেখ্য আছে বিগত দিনেও ইউএনও মাসুমা আক্তার বরিশাল বিভাগের উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলার যখন উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর দায়িত্ব পালন করছিলেন সেখানেও তিনি জনসেবায় নিজেকে সর্বদা প্রফুল্লিত রেখেছেন, জনগণের সেবাই যেন তার একমাত্র ব্রত, সরকার হতে তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে দায়িত্ব পালনে সে দৃঢ় ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমানে ইউএনও মাসুমা আক্তার বরগুনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, সেখানে সে দৃঢ় ভূমিকা পালন করছেন যা দৃষ্টিগোচর হয়েছে ডিসি মহোদয় সহ জনসাধারণের মাঝে।জনগণের মুখে একটাই কথা হোক করোনা, হোক প্রাকৃতিক দূর্যোগ সরকারি তহবিল থেকে যখন যে রকম ত্রাণ অনুদান যা জনগণের জন্য যখন আসে আমাদের ইউএনও ম্যাডাম তখন তা আমাদের মাঝে বিতরণ করেন যে কোনো পরিস্থিতির মাঝে। মাত্র ৬ মাসে বরগুনা সদরে যোগদানের মাথায় সবার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি বলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর দেয়া খাদ্য সামগ্রী সকলের ঘরে পৌঁছে দেয়াই আমার কাজ।
এ পর্যন্ত বরগুনা সদর উপজেলায় করোনাভাইরাস (কভিড ১৯) এর অনুকূলে যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ হয়েছে তা হল ৩৩ হাজার ১৫৩ পরিবারের মাঝে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৬৫ জনকে ৩৪২.৫৩০ মে.টন চাল বিতরন,১৫ হাজার ৬শ ৬৩ পরিবারের ৭৮ হাজার ৩১৫ জনের মাঝে ১৪,৯৭৫০০ ক্যাশ টাকা ও ১ হাজার ৪শ ২০ পরিবারের ৭ হাজার ১০০ শিশুকে ৪,২৬,০০০ শিশু খাদ্য বিতরন করেছি।
এ যেন এক করোনা যুদ্ধে একজন ইউএনও ও তার ট্যাগ (তদারকি) অফিসারদের নিরলস প্রশংসনীয় চেষ্টা। মাসুমা আক্তার- মহামারীর এই দুর্দিনে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বরগুনার মানুষের পাশে কর্মব্যস্ত, ক্লান্তিহীন দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একজন লেডি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (বরগুনা সদর, বরগুনা)। তিনি অত্যন্ত জনবান্ধব, মেধাবী, সাহসী এবং কর্মীবান্ধব চৌকস কর্মকর্তা। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই এক মুহূর্তের জন্যও মানুষকে বিপদে রেখে, নিজের বিপদ হতে পারে জেনেও পিছপা হননি। সরকার ঘোষিত লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে অন্যান্য মানবিক কাজে নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রেখেছেন। তার কাজের মহিমায় উপজেলার সব অফিসার তাকে নিয়ে গর্ববোধ করে, ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা জানায়। তিনি নিজেকে একজন গরিবের ইউএনও হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
অন্যদিকে বরগুনা সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে কর্মহীন, হতদরিদ্রের ত্রানবিতরণ, কার্যক্রম মনিটরিং, বাজার মনিটরিং, হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ব্যক্তিদের তদারকি, তাদের গতিবিধি তদারকি অন্যান্য জেলা হতে আগত ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়্যারম্যান দের সাথে সহায়তা করা সুষ্ঠু ভাবে প্রত্যেক হতদরিদ্রের নিকট ত্রান পৌঁছানোর লক্ষে উপজেলায় ১০ জন ট্যাগ (তদারকি) কর্মকর্তারা জিবনের মায়া ত্যাগ করে একান্তই নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা মাসুমা আক্তার জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে কর্মহীন হয়ে পড়া সকল পরিবারগুলো যেন ত্রান সহায়তার আওতায় আসে ইউপি চেয়্যারম্যানদের সাথে সহায়তা করে ত্রানবিতরন কার্যক্রম মনিটরিং করা সহ বাজার মনিটরিং, হোমকোয়ারেন্টনে থাকা ব্যক্তিদের তদারক করার লক্ষ্যে উপজেলায় ১০ জন কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা তাদের উপর অর্পিত এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন যথাযথ ভাবে