চট্টগ্রাম

বাঁশখালীতে বোট মালিকের বিরোদ্ধে শ্রমিকের বেতন না দিয়ে মারধরের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২৫ , ৪:৫৬:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বাঁশখালীতে বোট মালিকের বিরোদ্ধে শ্রমিকের বেতন না দিয়ে মারধরের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মৎস্যজীবী শ্রমিকের বেতন-ভাতা না দিয়ে উল্টো মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠে ফিশিংবোট মালিক ও তার সহযোগীদের বিরোদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মৎস্যজীবী শ্রমিক মো. হুমায়ুন কবির নামে একজন বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- গারাজাল ফিশিংবোটের মালিক শেখেরখীল ইউনিয়নের মো. শফি আলম (৫০) ও তার সহযোগী একই এলাকার মো. আজিম প্রকাশ চুনচুন (৩৭), মো. লেদু (৫০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘গত নভেম্বর মাসে মো. শফিউল আলমের মালিকানাধীন তিনটি গারাজালের বোটে প্রায় ৪০জন শ্রমিক পাঁচ মাসের চুক্তিতে গভীর সমুদ্র সুন্দরবনের রাঙ্গাবালী নামক স্থানে মাছ শিকারের জন্য যায়। চুক্তির মেয়াদ শেষে গত ৭ এপ্রিল রাতে তারা বোটযোগে শেখেরখীল লালজীবন গোদারপাড় নামক স্থানে আসলে শফিউল আলমের সহযোগীরা শ্রমিকদের নিজেদের শিকার করা প্রায় ৩০ কেজী শুটকী, মানিব্যাগ, কাপড়-চোপর কেড়ে নিয়ে বের করে দেয়। বকেয়া বেতন চাইলে উল্টো মারধর, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি-ধমকি দেয়।’

মো. হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, ‘বোট মালিক আমাদের কে চুক্তি ভিত্তিক সাগরে নিয়ে গেলেও কিছুদিন পর চুক্তি ভঙ্গ করে। আমাদের শ্রমিকদের মধ্যে নয়জন থেকে একশ টাকা মূল্যের তিনটি অলিখিত ননজুডিশিয়াল স্টাম্প করে মোট ২৭টি স্টাম্প গ্রহণ করেন বোট মালিক। চুক্তির মেয়াদ শেষে আমাদের বকেয়া বেতন চাইলে মারধর করে, মালামাল লুট করে নেয়। তার সহযোগী চুনচুন ও লেদু আমাদের পাওনা টাকা হিসাব খাতায় বসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বোট মালিক ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার শালিশ বিচার অমান্য করে। আমরা ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত বোট মালিক শফিউল আলম ও তার সহযোগীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার জানান, ‘মৎস্যজীবী শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া, মারধর, মালামাল লুট করার লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়য়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

আরও খবর

Sponsered content