প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪:৩১:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের একটি মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মো. মিনতাজুর রহমান শাহরিয়ার (৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালু বলী পাড়া আল-মোস্তফা নুরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসায়।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর পিতা সৌদি প্রবাসী এম. মাইমুনর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে শাহরিয়ার ওই মাদরাসায় নূরানীতে পড়ে। সোমবার সকালে ক্লাসে ওই মাদরাসার শিক্ষক মাও আব্দুছ সালাম আমার ছেলেকে দু’টি সূরা পড়ার কথা বলেন। সূরা একটি পড়ার পর আরেকটি না পারার কারণে মাটিতে মাথা চেপে ধরে বেত দিয়ে উপর্যপুরি বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে শিশু শাহরিয়ার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে হুঁস ফিরে আসলে আমার ছেলের পীঠে আঘাতের ক্ষত বুঝা না যায় মতো কি যেন লাগিয়ে দেয়। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে এসে চিকিৎসা চালাচ্ছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুছ সালাম মাদরাসা ছেড়ে পালিয়েছে বলেও জানা যায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত ওই মাদরাসার শিক্ষক মাও আব্দুছ সালাম বলেন, ‘মারধরের ঘটনা সত্য। ছাত্রগুলো মাদরাসা থেকে পালিয়ে যেতো। আমি চিকন বেত দিয়ে মেরেছি। এতো বেশী আঘাত হয়েছে তা বুঝে উঠতে পারিনি। আমি এ ঘটনায় সকলের কাছে ক্ষমা চাই। আমার অপরাধ হয়েছে।’
গন্ডামারা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়াহেদ উল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বলেন, ‘ওইদিন অভিযুক্ত শিক্ষক পাঁচজন ছাত্রকে পড়া না পারার কারণে বেধড়ক মারধর করেছে বলে জানতে পারি। সবচেয়ে বেশী আঘাত পেয়েছে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবগত করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীকেই এভাবে মারধর করা যুক্তিসঙ্গত নয়। এটা অমানবিক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।’