বাংলাদেশ

বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসঙ্ঘের

  প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৩ , ৭:১০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

জাতিসঙ্ঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং ক্যাথরিন পোলার্ড আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে যৌথভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।জাতিসঙ্ঘ সদস্য অস্থিতিশীল দেশগুলোতে শান্তি রক্ষায় অবদানের জন্য তারা বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বৈঠকে তারা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।জাতিসঙ্ঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, জাতিসঙ্ঘ সফলভাবে তার শান্তিরক্ষা অভিযানের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে।এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য প্রেরণকারী দেশ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাতিসঙ্ঘের নয়টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ৭৫০০ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ নিযুক্ত রয়েছে।’ক্যাথরিন পোলার্ড যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন রোধে ট্রাস্ট ফান্ডে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নারী নিরাপত্তা এবং (জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে) নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।সূত্র : বাসস

আরও খবর

Sponsered content