বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার ও প্রেসিডেন্সিয়াল টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান শভেন্দ্র সিলভার সঙ্গে বৈঠক করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট প্রতিনিধি দল। বৈঠকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা।করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্চের শুরু থেকে কারফিউ জারি করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম বলছে, করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী। দ্বীপরাষ্ট্রে সফরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীরও সবুজ সংকেত প্রয়োজন।
এ কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফরের জন্য শ্রীলঙ্কা সরকার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছিল। বাংলাদেশ থেকে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী নমল রাজাপাকশে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পুনরায় কোয়ারেন্টাইন শর্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
এরপর সফর নিয়ে আশার আলো দেখা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিসিবির শর্ত মেনে সাতদিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে শ্রীলঙ্কা। অষ্টম দিন থেকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে অনুশীলন শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে।
সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাজি হলে পূর্বের সূচি অনুযায়ী সফরে যাবে বাংলাদেশ। ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বীপরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমান ধরবে টাইগাররা। ২৪ অক্টোবর প্রথম টেস্ট খেলবে দুই দল।