প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২০ , ১২:১৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। শনিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব গণমাধ্যম জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭০ ইলেক্টরালের লক্ষ্যমাত্রা পার হয়ে জয়ী হয়েছেন বাইডেন। ফক্স নিউজ জানিয়েছে বাইডেন পেয়েছেন ২৯০ইলেক্টরাল কলেজ ভোট। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ভোট।
তবে এবারের নির্বাচন নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে গেলেও চুপ ছিলেন বিশ্বনেতারা। বাইডেনের জয়ের পর নিরবতা ভাঙতে শুরু করেছেন তারা। অভিনন্দন জানাচ্ছেন নির্বাচিত হওয়ার জন্য। এ পর্যন্ত বাইডেনকে যারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রো, এঙ্গেলা মেরকেল, জাস্টিন ট্রুডো, বরিস জনসনসহ অনেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার করে নেবার জন্য অপেক্ষা না করেই বিশ্ব নেতারা প্রেসিডেন্ট পদে সদ্য নির্বাচিত জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জার্মান চান্সেলর মেরকেল বলেছেন, তিনি জো বাইডেনের সাথে ‘ভবিষ্যতে সহযোগিতার’ ভিত্তিতে কাজ করার জন্য আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়কার যে বিশাল চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মোকাবেলায় আমেরিকা ও ইউরোপ তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রেখে কাজ করবে।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এক টুইট বার্তায় বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আসুন একসাথে কাজ করি।’
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেস বলেন, তিনি বাইডেন ও কমালা হ্যারিসের সাথে ‘সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী’ এবং তিনি তাদের ‘গুড লাক’ অভিনন্দন জানান। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস বলেছেন, বাইডেন তার দেশের ‘প্রকৃত বন্ধু’। বলেন, ‘তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই অবশ্য এতটা উষ্ণতা প্রকাশ করেননি। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, আমেরিকান প্রশাসনে রাজনৈতিক, নাগরিক ও নৈতিক সব পর্যায়ে নিশ্চিত স্খলন খুবই স্পষ্ট।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বাইডেন ও কমালা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করার পর একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, যাতে তিনি বলেছেন কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে ‘সম্পর্ক অন্যন্য – যা বিশ্বে ব্যতিক্রমী’। দু‘দেশের সরকার ‘শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এবং বিশ্বে জলবায়ু সমস্যার মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করবে।’