প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৩:৫৯:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কমপক্ষে সাতটি মর্টার আঘাত হেনেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে সুরক্ষিত গ্রিন জোনের ভেতরে এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই একই দিনে ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করেও কমপক্ষে পাঁচটি রকেট ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর পৃথক ঘাঁটিগুলোতে তিনটি ও ইরাকে বাগদাদের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে দুই দফা হামলা চালানো হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে সেখানে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত এখনও চলছেই।
এদিকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার সংঘাত শুরুর পর থেকেই সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীগুলো বার বার হামলার শিকার হচ্ছে। গাজার যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে ফোন করে এসব হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলার জন্য ইরানের মিত্র ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ এবং হরকত হিজবুল্লাহ আল নুজাবাকে দায়ী করা হয়েছে।
তাদের দুজনের ফোনালাপের বিষয়ে পেন্টাগনের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অস্টিন সুদানিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্পষ্ট জাবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। তবে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
গত এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে এই প্রথম হামলা চালানো হলো। এতে ওই অঞ্চলে মার্কিন অবস্থানগুলোর ওপর হামলা বিস্তৃত হচ্ছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এসব হামলা বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে।