প্রতিনিধি ১৯ নভেম্বর ২০২৩ , ৬:০৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-০৩) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। তার পক্ষে রবিবার (১৯নভেম্বর) বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার কাছ থেকে এ মনোনয়ন সংগ্রহ করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ রেদওয়ান মারুফ, মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মিলন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিলিপ কুমার মন্ডল, ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুজা উদ্দিন তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক নেতা পিন্টু মজুমদারসহ মোংলা-রামপালের নেতা-কর্মীরা।
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-০৩) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তৃতীয়বারে তিনি হন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। এর আগে তার পতি খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০১৪ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। খালেক চারবারের এমপি থাকাকালে একবার ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী। এরপর তিনি তিনবার খুলনা সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।
২০১৮সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে হাবিবুন নাহার দায়িত্ব পান সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর। এ সময় গোটা সুন্দরবনের অবকাঠামোগত দৃশ্যমান উন্নয়ন ছাড়াও তার নির্বাচনী এলাকা মোংলা ও রামপালে তিনি ও তার পতি তালুকদার আব্দুল খালেক যুগান্তকারী উন্নয়ন করে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হন। এ কারণে এলাকার ভোটাররা হাবিবুন নাহারকে আবারও নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান।
হাবিবুন নাহার বলেন, তিনি ও তার পতি তালুকদার আব্দুল খালেক মোংলা-রামপালের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ছাড়া কখনও নিজেদের জন্য কিছুই করেননি, ভাবেননিও। পারিবারিক জীবনে নিঃসন্তান এ দম্পতি তাদের জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় ব্যয় করেছেন মোংলা-রামপালের মানুষের পিছনে। এলাকায় বেশি সময় দেয়ায় ও মানুষের সুখে-দুঃখে কাছে থাকায় এ জনপদের মানুষের কাছে মা জননী খেতাবও পেয়েছেন হাবিবুন নাহার।
এই এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের সময় কোন উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সে সময় এ এলাকায় সন্ত্রাস ও লুটের রাজনীতি চলছিলো। সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম নির্যাতন চলতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের বরাদ্দ দিয়েছেন, সেই উন্নয়ন করে এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন তারা। নেই আগের মত দখল, লুটপাট ও হানাহানি। বর্তমান শান্তি শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন বিবেচনা করেই এ এলাকার মানুষ আবারো নৌকায় ভোট দিবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।