প্রতিনিধি ১৪ জুলাই ২০২৪ , ৮:১১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বাবার মৃত্যুর সাত দিন পর থানায় গিয়ে তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে এক কিশোরী (১৬)। পুলিশ তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।
জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শেখ হুমায়ুন কবির। তার তিন মেয়ে। বড় মেয়ে বিবাহিত। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দেয়ানার বাড়িতেই থাকতেন ব্যবসায়ী হুমায়ুন। থানায় হাজির হওয়া কিশোরী সুমাইয়া তার ছোট মেয়ে। সে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, হুমায়ুনের ছোট মেয়ে শুক্রবার রাতে থানায় এসে জানায়, সে তার বাবাকে হত্যা করেছে, তাকে গ্রেফতার করা হোক। তাকে রাতে একাধিক বার এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা রয়েছে। এ জন্য আরও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। সুমাইয়ার বড় বোন মরিয়ম আদালতে এ বিষয়ে আবেদন করছেন। আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। সে আলোকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আপাতত সুমাইয়াকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ জুলাই দৌলতপুর এলাকার ব্যবসায়ী শেখ হুমায়ুন কবীরের মরদেহ ঘর থেকে উদ্ধার হয়। হৃদরোগে তার মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। বলা হয়, আগের রাতে ভাত খেয়ে ঘুমাতে যাওয়া ব্যবসায়ী হুমায়ুন সকালে ঘুম থেকে ওঠেননি। মৃত্যুর সাত দিন পর ১২ জুলাই রাতে দৌলতপুর থানায় হাজির হয় তার ছোট মেয়ে সুমাইয়া। পুলিশকে সে বলে, ‘বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছি। আমাকে গ্রেফতার করুন।’
পুলিশের কাছে সে আরও দাবি করেন, ‘রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।’