গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২৫ , ৭:১৩:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এম পি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম, এইচ খান মঞ্জু শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় গোপালগঞ্জের বর্তমান ও তৎকালীন সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন।
বিশেষ করে বিগত সরকারের আমলে তার ও পরিবারের ওপর কি ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন হয়েছে তার বর্ননা দেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করেননি। তার কপালে এগুলো লেখা ছিলো বিধায় সে সকল বিষয় তিনি মেনে নিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তাকে ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করায় তিনি এ ধকল সহ্য করতে পেরেছেন।
বর্তমানে তার বয়স ৭০ বছর চলমান। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ-২ আসনে এমপি পদে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, বিগত দিনে তিনি গোপালগঞ্জে অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাকে যদি আগামীতে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জে ইপিজেড নির্মাণ করে লক্ষ্য মানুষের কর্মসংস্থান সহ সমস্ত এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করবেন বলে জানান।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ তিনি আশাবাদী বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড তাকেই মনোনয়ন দেবেন। আর মাঠ পর্যায়ে বস্তুনিষ্ঠ জরিপের মাধ্যমেই তা পরিষ্কার হবে। যদি তাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেও সাংবাদিকদের জানান। তিনি দলের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধাভরে মাথা পেতে নেবেন।
এসময় কগোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস এম সুমন, জেলা বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি রমেন্দ্রনাথ সরকার, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লিটন মিয়া, শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ শেখ সহ জেলায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে ইতোমধ্যেই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারনা জমে উঠেছে। যদিও নির্বচনী তফসিল ঘোষণা হয়নি, তারপরও শুধুমাত্র বিএনপি থেকে গোপালগঞ্জ-২ আসনে ৭/৮জন প্রার্থী মনোনয়ন পেতে দৌড় ঝাঁপে রয়েছেন। প্রার্থীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা ফিরছেন।করছেন পথসভা ও উঠান বৈঠক। মনোনয়ন পেয়ে নির্বচিত হতে পারলে এলাকাবাসীকে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।











