দেশজুড়ে

বিজয়নগরে ইছাপুরা ইউনিয়নে হাজারো কৃষকের ভাগ্যে বাঁশের সেতু

  প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭:১১:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বিজয়নগরে ইছাপুরা ইউনিয়নে হাজারো কৃষকের ভাগ্যে বাঁশের সেতু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন করতে কৃষকদের সাঁকো একমাত্র অবলম্বন। যার কারণে ভোগান্তি, খরচ বৃদ্ধি সহ প্রত্যাশিত ফলন পেতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। উপজেলার ১০-১৫ টি গ্রাম নিয়ে পঠিত ইছাপুরা ইউনিয়ন।

সেখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পূর্বাঞ্চলে গ্রামাঞ্চল হওয়াতে অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। সরকারিভাবে কৃষকের জন্য বিভিন্ন অনুদান বরাদ্দ থাকলেও ইছাপুরা  ইউনিয়নের কৃষকের যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য ভাগ্য যেন পরিবর্তন ছোঁয়া লাগছে না। ইউনিয়নটি আর্থিক ও শিক্ষা দীক্ষায় মর্যাদায় থাকলেও কৃষকের ভোগান্তি যেন লেগেই আছে।

ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুড়াইল গ্রামের কৃষকের প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার বিঘা জমি কৃষি করে এই বাঁশের সেতু দিয়ে আনা নেওয়া করতে হয়। অন্যদিকে এতগুলা কৃষকের গৃহপালিত পশু গরু ছাগল লালনপালনের জন্য এপার থেকে ওপার নিয়ে আসতে ভাল ব্যাগ পোহাতে হয়। সেই নদীটির নাম বালিয়াজুরি।

বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক নেতারা আশ্বাস দিলেও সেই বালিয়াজুরীবিল এখন আগের মতই বাঁশের সেতু দিয়ে কৃষকরা ধান ও কৃষি উৎপাদন আনা নেওয়া করেন। এতে করে উৎপাদন খরচ ও অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। নদী প্রস্থের প্রায় ১২০ফুট।

এ বিষয়ে কৃষকের দাবি, সরকারি অনুদানে এই বালিয়াজুরিতে ১২০ফুটের একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দিলে এলাকার কৃষকরা অতিরিক্ত সময় ও বাড়তি খরচের ব্যয় থেকে বেঁচে যাবে। এবং কৃষি উৎপাদনে ভাল ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই দ্রুত এই ব্রিজ করতে জোর দাবি জানান । 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ওই এলাকায় একটি ব্রিজের বিশেষ প্রয়োজন, কৃষকের স্বার্থে অনুমোদন প্রেরণ করা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। আমি যথাসাধ্য চেষ্টার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন দপ্তরে বিষয়টি অবগত করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সাব্বির আহমেদ জানান, কৃষিক্ষেত্রে যাতায়াত ব্যবস্থা  অনেকটাই নির্ভরশীল, কারণ  যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হলে, কৃষকের খরচ কম ও সময় বেঁচে যাবে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য ও অধিক মুনাফা হবে। তাই কৃষকের স্বার্থে ব্রিজটি  করা খুবই জরুরী।

আরও খবর

Sponsered content