প্রতিনিধি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:০৯:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় জঘন্যতম অপরাধ মানবপাচারের অভিযোগে চান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শামিউল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের মৃত আ. রহমানের ছেলে আলম মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে ৫/২৪নং মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি চান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান এম শামিউল হক চৌধুরী (৫০)। অন্য আসামিরা হলেন- নুরু মিয়ার ছেলে গাজী মিয়া (৩৮), নিলুফা বেগম (৩০), মকবুল মিয়া (৩৫), রহিছ মিয়া (৫০), কালু মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (৩৫), জেলার আখাউড়া গঙ্গানগরের রেশমা বেগম (৩০) ও সম্পৃক্ত এনএমএসএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস এজেন্সির দায়িত্বরত মজিবুর রহমান (৪০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বাদী আলম মিয়ার অপ্রাপ্তবয়স্কা কন্যা (ভিকটিম) সালমা বেগমকে (১৫) ঢাকায় বাসাবাড়ির কাজ দেবে বলে আসামি রেসমা বেগম ভিকটিমের সৎমা-এর প্ররোচনায় ও আসামি মজিবুর রহমানের (ট্রাভেলস এজেন্সি) যোগসাজশে বাদীর (পিতা) অনিচ্ছায় ও অগোচরে আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ভিকটিমের বয়স বর্ধিত করে পাসপোর্ট বানাতে সাহায্য করে। গরিব বাবার অসহায়ত্বের তাগিদে ঢাকায় বাসার কাজে দেয়ার আপত্তি না থাকলেও জানেন না তার কন্যা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, কোনো না কোনো উপায়ে বিদেশে পাচারের কথা জানতে পেরে ভিকটিমকে ফিরিয়ে আনতে আসামিগণকে অনুরোধ করলে আসামিগণ এক লাখ টাকা চাঁদা নিয়েও ভিকটিমকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ভিকটিম প্রায় ৫ বছর যাবৎ সৌদি আরবে নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে মর্মে ভিকটিমের বাবা আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে চান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শামীউল হক চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। বাদীর গ্রামের মগল আলী ও মুগবুল আলী নামের এক মাধ্যমে বিদেশ পাঠিয়েছে। আমি বিষয়টি জানিও না। টাকা দেয়ার সময় কিছু জানি না। পরে শুনেছি মেয়েটা মারা গেছে। তখন মেয়ের মা, বাবা ঢাকা যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গিয়েছিল সেই এজেন্সি তাদের টাকা দিয়েছে তার স্ট্যাম্প ও ভিডিও ফুটেজ এজেন্সির কাছে আছে। আমাকে ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। এছাড়া আমি কিছু জানি না।