প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২০ , ৫:১২:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
বিরামপুরে চার্চের নামে জমি দান এবং সাঁওতাল থেকে খৃষ্টান হয়েও চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না পেয়ে ভুক্তভোগী লোকজন বুধবার দিঘলচাঁদ গ্রামে ইউনাইটেড বেথানী চার্চের সামনে মানববন্ধন করেছে।
ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার বড় পাদুমপুর গ্রামের রেভা. ইলিয়াস সরেন বিরামপুর উপজেলার দিঘলচাঁদ গ্রামের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ১২টি পরিবারের ৩০ জন লোককে ২০০৬ সালের ২৬ জুন খৃষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করেন। সে সময় রেভা. ইলিয়াস সরেন ধর্মান্তরিতদের চাকরি ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেন।
ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ঐ সকল পরিবারের লোকজন চাকরি ও সুযোগ সুবিধা চাইলে দীক্ষিতদের নিকট থেকে চার্চ করার জন্য জমি চাওয়া হয়। রেভা. ইলিয়াস সরেনের প্রলোভনে পড়ে গ্রামবাসীর পক্ষে গ্রামের মুচিয়া মার্ডি .৩৩ শতক জমি দান করেন। সেখানে ২০০৮ সালে ইউনাইটেড বেথানী চার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জমি দানকারী মুচিয়া মার্ডির ছেলে ইট ভাটা শ্রমিক বিশাল মার্ডি ও মিল্টন মার্ডি বলেন, ঐ চার্চে অন্যান্য এলাকা থেকে লোক এনে চাকুরি দেওয়া হলেও ধর্মান্তরিত বা জমি দাতার কাউকে চাকুরি বা কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। সুবিধা বঞ্চিত অন্যান্য লোকজনও একই অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভুগিদের নিয়ে স্থানীয় খাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেননি।
বাধ্য হয়ে সুবিচার চেয়ে অবশেষে তারা মানববন্ধনের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে চার্চ কর্তৃপক্ষের সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় খাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, দিঘলচাঁদ গ্রামের ভুক্তভোগিদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। ধর্মান্তরিত লোকজন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেও কোন সুরাহা করা যায়নি।
উপজেলা আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জর পাহান বলেন, এব্যাপারে তিনিও সুরাহার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
দিঘলচাঁদ গ্রামের ইউনাইটেড বেথানী চার্চের পরিচালক রেভা. ইলিয়াস সরেন বলেন, কাউকে প্রলোভন ও আশ্বাস দিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়নি। অভিযোগকারিরা স্বেচ্ছায় সাঁওতাল ধর্ম থেকে খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। খৃস্টান ধর্মের প্রতি অনুগত হয়ে চার্চ নির্মাণের জন্য দাতা জমি দান করেছেন।