প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২:৪৭:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার করা এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন একজন ইউএনওর যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, ওয়াহিদার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বাড়ির ভেতরে ঢুকে এভাবে আক্রমণ করা বা হাতুড়ি দিয়ে পেটানো…চোর ঢোকে চুরি করতে.. কিন্তু এভাবে একটা সরকারি কর্মচারীর ওপর হামলা করা, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এর বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, একটা কথা আপনারা জানেন যে, এই বাংলাদেশে কী ঘটনাটা ঘটেছে…পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টে ঘরে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে…তিনি তো রাষ্ট্রপতি ছিলেন…গোটা পরিবারকে হত্যা করেছে… এবং সেই খুনিদের ইনডিমিনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। যারা এত বড় ক্রিমিনাল, এই ধরনের খুনি, ক্রিমিনালদের যখন প্রশ্রয় দেয়া হয়, মানসিকভাবে সেই দেশের মানুষের কী রকম চরিত্র হতে পারে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখান থেকে একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা, ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসা, অন্যায়কারী… তাদের বিরুদ্ধে যেন শাস্তি হয়, বিচার হয় এটাই তো সব থেকে বড় কাজ। ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে। সেই ঘটনার সাথে সাথে আমরা সরকারপক্ষ থেকে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি কি-না সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন। সে কারণে আমরা যখনই যেখানে যে ঘটনা ঘটে, যারা জড়িত, তদন্তে যার নাম আসবে, যে জড়িত, সে কে, কী করে- আমি সেটা দেখতে চাই না। আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কিন্তু নিচ্ছি এবং আমরা এটা নেবো।
তিনি বলেন, সেটা আমরা করে যাচ্ছি। এটা সকল ক্ষেত্রে। এর বেশি আর কিছু বলার নেই। কারণ, যে দেশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয় দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। যে দেশে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। এ রকম অবস্থা ছিল সেই দেশটাকে ডিসিপ্লিনের ফিরিয়ে আনা, সেই দেশটাকে নিয়মমাফিক চালানো খুব কঠিন একটা দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব আমরা সরকারে আসার পর থেকে পালন করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে পাঁচশটা বোমা হামলা হয়েছে। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারীরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। এই ধরনের বহু ঘটনা আমাদের দেশে ছিল। কিন্তু আমরা তো আস্তে আস্তে সেগুলো একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। তারপরও এত জনসংখ্যা, এত ঘনবসতির একটা দেশে খুব কঠিন একটা কাজ। তারপরও আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট সক্রিয় আছে। যখনই যে ঘটনা ঘটে আমরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।