রাজশাহী

বেড়ায় পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চাষিদের দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ১৪ জুলাই ২০২০ , ৭:২২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

বসন্ত দাস, বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলায় পাট কাটা চলছে পুরোদমে। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চাষিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ট্রলি কিম্বা গরু মহিষের গাড়িতে পাট অন্যত্র নিয়ে খাল ও ডোবায় জাগ দিতে হচ্ছে। এতে পাট চাষিদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।
বেড়া কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বেড়া উপজেলায় পাটের আবাদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৬শ’ ১০ হেক্টর। এর মধ্যে তোষা পাট আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৯৫ হেক্টর এবং দেশী পাট আবাদ হয়েছে ৫শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর পাটে কোন প্রকার পোকা বা রোগ বালাই আক্রমণ না হওয়ায় পাটের ফলন খুবই ভালো হবে। তবে পানির অভাবে পাট পচানোর সমস্যার কারণে পাট আঁশের গুণগতমান কেমন হবে এনিয়ে চাষিদের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। পাট আবাদ বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের পাট চাষি মো. হযরত আলী জানান, ধানের চেয়ে পাটের দাম বেশি হওয়ার কারণে পাট চাষে চাষিরা ঝুঁকে পড়েছে। বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মসকর আলী জানান, গড়ে প্রতি হেক্টরে ১১ দশমিক ৪২ বেল পাট উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভালো দাম পেলে আগামীতে পাটের আবাদ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দেশি জাতের পাট হেক্টরে ৫৫ থেকে ৬০ মণ এবং তোষা জাতের পাট হেক্টরে ৬০ থেকে ৭০ মণ হারে উৎপাদন হবে।
তবে পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে পাট চাষিরা সমস্যায় পড়েছে। পানি স্বল্পতার কারণে অনেক সময় পাটের রঙ নষ্ট হয়ে যায়। তাই কাঁচা অবস্থায় পাটের আঁশ ছাড়িয়ে কম খরচের রিবন রেটিং পদ্ধতি প্রয়োগের পক্ষে মত দেন তিনি। এতে নদীনালা, খাল, বিলের পানির প্রয়োজন পড়বে না। বাড়িতে ছোট গর্তে পলিথিন দিয়ে অথবা বড় বড় চারিতে পাট পচানো সম্ভব। এতে একদিকে সময় বাঁচবে, অন্যদিকে পাটের রঙ ও গুণগত মান ভালো হবে।

আরও খবর

Sponsered content